বিএনপি’র মনোনয়ন কিনলেন ইশরাক, রিপন, তাবিথ র

প্রশান্তি ডেক্স॥ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তিনজন। ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও দলটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। আর দক্ষিণে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন অবিভক্ত ঢাকার মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিদ আউয়াল। কিছুক্ষণ পর উত্তরের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। বিকাল চারটায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ইশরাক হোসেন। পরে তিন প্রার্থী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, জনগণের সেবা এবং দেশের স্বার্থে বিএনপি সবসময় কাজ করে আসছে। আমরা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের উপর। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন এমন কোন আচরণ করবেন না যাতে করে মানুষ নির্বাচন বিমুখ হয়ে যায়। আমাকে সব সময় মানুষ জিজ্ঞেস করে তারা তাদের ভোট দিতে পারবে কিনা এবং তাদের ভোট গণনা হবে কিনা। দেশের মানুষ এখন তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। আমরা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সবসময় লড়াই চালিয়ে যাব। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে শুধু আমার না, সকল জনগণের শঙ্কা আছে। ইভিএমে বিষয়টা নিয়ে পুরো পৃথিবীতে শঙ্কা রয়েছে। ডা. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমাদের দল বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি মনে করি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের অধিকার ফিরে আসবে না, গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সেটা তো কোনো নির্বাচন হয়নি বরং ভোট ডাকাতি হয়েছে। দলীয় মনোনয়নের আপনি কতটুকু আশাবাদী এমনটা জানতে চাইলে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক বলেন, দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আমি একজন হকদার। কারণ পার্টি যখন সংকটময় সময় অতিবাহিত করেছে তখন দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে ওই দায়িত্ব আমি পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে পালন করেছি। ছাত্র জীবন থেকে আমি রাজনীতি করে আসছি, মামলা রয়েছে অসংখ্য, জেল খেটেছি। আমি জিয়াউর রহমানের নামে বেগম খালেদা জিয়ার নামে আর ব্যক্তিগত পরিচয়ে এ পর্যন্ত এসেছি। ইশরাক হোসেন বলেন, একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। আজকে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে নেই। কারো ভোটের অধিকার নেই। এই দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশে একটি ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। আপনাকে কেন মানুষ ভোট দিবে এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আজকে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কোন জবাবদিহিতা নাই জনগণের কাছে। কারণ তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় নাই। তারা সব সময় নিজের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে কিন্তু নগর উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করে নাই। সেই কারণে আমি মনে করি জনগণ প্রত্যাশা করে একটি তরুণ নেতৃত্ব। দুই দিনে কাউন্সিলর পদে সমর্থনপত্র কিনেছেন ৪৪২ জন: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিএনপির সমর্থনপত্র কিনেছেন ৪৪২ জন। কাউন্সিলর পুরুষ ৩৫৯, নারী (সংরক্ষিত) ৮২ জন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরে সমর্থনপত্র ফরম কিনেছেন ১৫৯ পুরুষ এবং ৩১ নারী । আর দক্ষিণে কিনেছেন পুরুষ ২০০ ও নারী ৫০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.