নতুন বছর ও নির্বাচন

আনন্দ ও উদ্দিপনার বছরে এল সিটি নির্বাচন। আর এই নির্বাচন দিয়েই শুরু হবে সরকার এবং বিরোধীদল ও জনগণের কল্যাণের সুতিকাঘর। সকল নৈরাজ্য পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে অমীয় বাণী আমাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে সেই বানীর প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রেখে জনকল্যাণে এমনকি দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে এগিয়ে গেলে এই আনন্দ এখন সকলেরই। বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সরকারী আওতায় অথবা জনগণের মননে একই ভাব বিরাজ করছে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা এমনকি মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরণৈর নিশ্চয়তাগুলি এখন শুধু ঘুরে ফিরে আসছে দৃষ্টিসীমায়। জনগন দেখতে চায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং একে অপরের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ। আর তা জাগ্রত রাখার সময় এখনই। রাজনৈতিক দলগুলোও চায় সরকারের সহযোগীতা এবং স্বচ্চতা ও জবাবদিহীতার বাস্তবরূপ। সরকারও চাই সকলে মিলেমিশে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে। তাই এই বছরটি শুরু হয়েছে আনন্দ ও উদ্ধিপনায়। সার্বিক বিবেচনায় যা দৃশ্যমান তা বহমান থাকলে দেশ আরো এগুবে নিশ্চিত। সরকারের আন্তরিকতার কোন কমতি নেই তবে বিরোধিদেরও আন্তরিকতা রয়েছে; তবে এই দুই আন্তরিকতার মাঝে রয়েছে ব্যক্তি স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের কিছু ফারাক। তাই এই দুই ফারাকের উর্দ্ধে উঠার আশায় এখন সাধারণ জনগণ। যদি এই ক্ষেত্রে সিটি নির্বাচন এবং সরকারের আন্তরিকতার বহি:প্রকাশ কাজ করতে পারে তাহলেই বাংলাদেশ স্থীতিশীলতায় এবং উন্নয়নের নিশ্চয়তায় পৃথিকে যে তাক লাগিয়েছে তা আরো বাড়িয়ে ইতিহাসে স্থান করে নিবে। আইন, আদালত, বিচার, সহানুভূতি এবং রাষ্ট্রকে সর্বাগ্র্যে রেখে এগুলো মুজিব শত বর্ষের স্বার্থকতা চির অম্লান হয়ে থাকবে। কারন মুজীব আদর্শ এই বাংলার সকলের এবং মুজিব এই বাংলার। মুজীব বিহিন বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না যেমন তেমনি মুজিব আদর্শবীহিন মানুষও এই দেশে কল্পনা করা যায় না। তবে যারা এই আদর্শের বাইরে তারা কিন্তু অচিরেই তাদের চিন্তা ও চেতনার পরিবর্তন ঘটাবে নতুবা এই বাংলা ছেড়ে অন্যত্র বাসস্থান গড়বে। এই নির্বাচন কিন্তু একটি প্রতীকি দৃষ্টান্ত হবে আগামীর জন্য। নির্বাচন কমিশন এখন তাদের হারানো আস্থা ফিরে পেতে যা যা করণীয় তাই করা উচিত। যেন দেশের মানুষ আস্থায় থেকে নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে ভোট দিয়ে তাদের সেবক নির্বাচিত করতে পারে। আর সকল দল ও মতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আগামীর দৃষ্টান্ত বহনে ন্যায়-পরায়নতার আঙ্গিকে কাজ করা এখন দৃশ্যমান রাখা প্রয়োজন। বাংলা ও বাংলার আকাশে যে শান্তি ও স্থীতিশীলতার উদীয়মান ঐক্যের সূর্য্য উদীত হয়েছে এই ২০২০ সালে তা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে কাজ করতে হবে সকলকে। শুধু সরকারের একার পক্ষে এইটা সম্ভব নয় বরং সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেই সম্ভব হবে এই বাংলার অগ্রগতি চলমান রাখার।
দলীয় মনোনয়ন ও নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই বছরটি শুভ হবে যদি আমরা সকলে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে মানব কল্যাণের তরে এগিয়ে যায়। আর এই এগিয়ে যাওয়াতে আমাদের সকলের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। শুরুটা যেহেতু ভাল হয়েছে শেষটাও ভাল হবে তা বলতে আমাদের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। তবে শেষ ভাল যার সব ভাল তার এই নীতিতে এগিয়ে যাওয়ার কাজটুকু অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে। দলীয় পদে থেকে এমনকি সরকারী পদে থেকে ও রাষ্ট্রীয় ভাবে দায়িত্বে থেকে কোন রকম ভুল করা থেকে বিরত থাকার সময় শুরু এখনই। তাই কথা, কাজ এবং আচরণে সজাগ থাকা ও সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। যাতে করে অনুকরনকারী হিসেবে অনুসরন করা থেকে যেন বিরতি না নিতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আশা ও বিশ্বাস নতুন আঙ্গিকে আমাদের ইতিহাসের পাতা লিপিবদ্ধ হবে ইতিবাচক অগ্রগতির কল্যাণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.