প্রশান্তি ডেক্স ॥ ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় যে পরিমাণ কর্মযজ্ঞ চলছে সেটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। কাজ শেষ হলে যান চলাচলের চিত্র বদলে যাবে। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে গত বুধবার মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইন সঞ্চালন সিস্টেম ও রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলের সাড়ে আট কিলোমিটার দৃশ্যমান। আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের বিজয়ের মাসে তরুণদের এই ‘ড্রিম প্রজেক্ট’-এর প্রথম ধাপ সমাপ্ত হবে। এটাই আমাদের নববর্ষের প্রত্যাশা। গত বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইন সঞ্চালন সিস্টেম ও রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুব শিগগিরই মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ওয়ানের কাজ শুরু হবে। এখানে দুটো পাতাল রেলের সিস্টেম আছে। একটির দৈর্ঘ্য ১৬, আরেকটির সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। ২০৩০ সালে ৬টি মেট্রোরেলের কাজ শেষে পৌনে দুইশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হবে। এতে ঢাকার চিত্র বদলে যাবে।’ সরেজমিনে দেখা যায়, এরই মধ্যেই দিয়াবাড়ি এলাকায় লাইন বসানোর আগে স্ক্রু লাগানো শেষ হয়েছে। এছাড়া, উত্তরা অংশে ট্রেন চলার সময় ট্র্যাকে ঘর্ষণের শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাবারের প্যাড লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় যে পরিমাণ কর্মযজ্ঞ চলছে সেটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরের যান চলাচলের চিত্র বদলে যাবে। এখন পর্যন্ত এই কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪০ ভাগ। দৃশ্যমান হয়েছে সাড়ে আট কিলোমিটার। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এসব এমআরটি লাইন চালু হলে ঢাকা শহরে সুন্দর দৃশ্যপট তৈরি হবে। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪০ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে আধুনিক গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্তে ২০১৩ সালের ৩ জুন শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড গঠন করা হয়।’ ‘এরই ধারাবাহিকতায় ৬টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সরকার কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছে। এ কর্মপরিকল্পনা অনুসরণে ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল বা এমআরটি লাইন ৬-এর নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষের ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সরকার বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’ সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘২০২৬ সালের মধ্যে উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ৩১.২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে ডিটেল ডিজাইনের কাজ চলমান। ২০২৮ সালের মধ্যে উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রুটের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের নিমিত্তে নিগোসিয়েশন সম্পন্ন হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে এমআরটি লাইন সাউদার্ন রুটের কারিগরি সহায়তা প্রকল্প সরকার অনুমোদন করেছে। একই সময়ের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে এমআরটি লাইন ২ এবং ৪ নির্মাণের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন।’
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post