প্রশান্তি ডেক্স॥ এক মাসের মধ্যে কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জলাধার ও জলাশয় রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু।
গত বৃহস্পতিবার নগরের ফিরিঙ্গি বাজার ফেরিঘাট এলাকায় দখল ও দূষণমুক্ত কর্ণফুলী নিশ্চিত এবং থমকে যাওয়া নদীর দু’তীরের উচ্ছেদ অভিযান অবিলম্বে শুরুর দাবিতে জলাশয় ও জলাধার রক্ষা কমিটি, চট্টগ্রামের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু বলেন, কর্ণফুলী হচ্ছে বাংলাদেশের হৃদপিন্ড। আর এই কর্ণফুলীকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে হত্যা করা। একটি মানুষকে যদি খুন করা হয় আসামীকে যাবতজীবন কারাদন্ড অথবা ফাঁসি দেওয়া হয়। তাহলে ১৮ কোটি মানুষকে হত্যা করার শাস্তি কী হবে? যারা কর্ণফুলীকে দখল করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, অনেকে বলেন নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছি। বনের মোষ কিন্তু তাড়াতে হয় না। কোথাও কি বনের মোষ দেখেছেন? বনের মোষ কিন্তু ক্ষতি করছে না। ক্ষতি করছে আমাদের মত মানুষরুপী কিছু প্রাণী। প্রাণীরা বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে।
নারী নেত্রী রেহানা বেগম রানু বলেন, আমরা নদীকে খাল বানিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হতো একসময়। এখন নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। আজকে পাহাড়, পর্বত, প্রকৃতি যদি কথা বলতে পারতো, বুঝার মতো ক্ষমতা থাকতো, তাহলে তারা বলতো, আমাকে হত্যা করো না।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় নদীকে দখলমুক্ত করতে যে অভিযান শুরু হয়েছিল, কেন তা বন্ধ হলো তা জানতে চাই আমরা। ৬০ একর জমি থেকে জেলা প্রশাসন এরমধ্যে ১০ একর উদ্ধার করেছে। এখনো ২ হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। হাইকোর্টের রিট কেন অমান্য করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমরা তার জবাব চাই। আমরা প্রত্যাশা করি বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন সমন্বয় করে পুণরায় উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।
একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারের সঞ্চালনায় ও জলাশয়–জলাধার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৩৩ নং ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, আশির দশকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আকবর চৌধুরী, একুশে পত্রিকার সম্পাদকীয় পরামর্শক নজরুল কবির দীপু, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, জুনিয়র চেম্বারের পরিচালক তরুণ উদ্যোক্তা টিপু সুলতান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা ও সংগঠক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মাসুদ, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, আলোর প্রতিষ্ঠাতা মিরাজুল হক, স্পোটিভ কোকোলোকোর কর্ণধার শেখ মোহাম্মদ জুলফিকার বিপুল, ডেইলি স্টারের স্টাফ করেসপন্ডেট মোস্তফা ইউসুফ, জাতীয় টেলিভিশন বিতার্কিক ইশরাত জাহান ইমা, প্রত্যাশা বাংলাদেশ এর সভাপতি নেছার আহমেদ খান ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ইফতিখার ইফতি, তরুণ সংগঠক যিকরুল হাবিবীল ওয়াহিদ, তরুণ ক্রীড়া সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী সাইফূল ইসলাম খান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি নাসিম উদ্দীন।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন, বিটিভির বার্তা প্রযোজক সুরেশ কুমার দাশ, একুশে পত্রিকার সম্পাদকীয় পরামর্শক এইচ এম জামাল উদ্দীন, প্রাক্তন ব্যাংকার ও শিল্পোদ্যোক্তা গিয়াস উদ্দীন, রোটারিয়ান সাজিদ হাসান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আরবান হেলথ এর প্রাক্তন কর্মকর্তা আনসার উদ্দীন, পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ বুলবুল অর্পণ, চট্টগ্রামস্থ পদুয়া সমিতির মুহাম্মদ ইদ্রীস, মুহাম্মদ খোরশেদ, রাসেল আহমেদ, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হারুন অর রশীদ হৃদয়, তাকিবুল বশর, নুরুল আলম, সুহাইল আকতার খান প্রমুখ।