বর্জ্য সংগ্রাহকদের আইডি কার্ড দেয়ার দাবি

প্রশান্তি ডেক্স॥ অপ্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্যজীবী ও গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহ-শ্রমিকরা সিটি করপোরেশনের পক্ষে রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও তা সঠিক স্থানে ফেলে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করছে। এজন্য তাদের প্রতেককে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড দিতে হবে। পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক এই বর্জ্যজীবীদের সিটি করপোরেশনের পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক মিডিয়া ক্যাম্পেইনে যাত্রাবাড়ী বর্জ্য সংগ্রহে নিয়োজিত শ্রমিক ইউনিয়ন ও ওই এলাকার গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহ-শ্রমিকরা এসব দাবি তুলেছেন।
‘অপ্রাতিষ্ঠানিক ও গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবিকার নিরাপত্তা’ শীর্ষক মিডিয়া ক্যাম্পেইনে সভাপতিত্ব করেন যাত্রাবাড়ী গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুস্তম আলী।
গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির অ্যাডভোকেসি পরিচালক এ বি কে রেজার সঞ্চালনায় এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন যাত্রাবাড়ী বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিনা বেগম। মূল বক্তা ছিলেন গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ। বর্জ্যজীবী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবিকা নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেন ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের যাত্রাবাড়ী থানা কমিটির সভাপতি শরীফ মিয়া, যাত্রাবাড়ী বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির পরিচালক (কর্মসূচি) খন্দকার রিয়াজ হোসেন, অ্যাডভোকেসি অফিসার এ. আজিম শিকদার প্রমুখ।
দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা বিশেষ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিকদের আইনি অনুমোদন বা স্বীকৃতি দান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রাবাড়ী বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিক ইউনিয়ন, যাত্রাবাড়ী গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিক ইউনিয়ন ও গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ মিডিয়া ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিকরা তাদের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো পেশাগত সুরক্ষা বা দক্ষতা ছাড়াই বর্জ্য সংগ্রহ শ্রমিকরা ক্ষতিকর ও বিপদজনক এই কাজ করে থাকেন। তাই ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কর্তৃক তাদের জন্য সেফটি ইকুইপমেন্ট ও সুরক্ষা প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দারিদ্র্য, অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে বর্জ্যজীবীরা মাঝেমধ্যেই অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই ক্ষতির কারণে তারা বারবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।
তাই বর্জ্যজীবীদের জন্য অবিলম্বে একটি বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি নেয়ারও দাবি জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.