নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো কখনো আস্থা ছিল না: সিইসি

প্রশান্তি ডেক্স॥ নির্বাচন কমিশনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থা সবসময়ই ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলের আস্থা ছিল, এটি কোনোদিন দেখিনি। যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের বক্তব্য একরকম হবে। আবার যারা বিরোধী দলে আস্থা ইসির ওপর তাদের আসবে না এটিই দেশের পলিটিক্যাল কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইভিএমসহ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনে সচেষ্ট। আমরা পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করিনি, করব না। তথাপি কমিশনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা-অনাস্থা তাদের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে।
সিটির ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা আরও বলেন, সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পর্যাপ্ত মাঠে আছে, নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো অসুবিধা হবে না। ভোটাররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এই কথা আমি বিশ্বাস করি না। এ সময় তিনি ঢাকা সিটির সব ভোটারকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
ইভিএমে ভালো ভোট হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইভিএম বিষয়ে যথেষ্ঠ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা যে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। ভোটাররা তাদের ইচ্ছামতো ইভিএমে ভোট দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই আহ্বান জানাই আমি।
অবাক বা হতবাক হওয়ার কিছু নেই; কথাটি সত্য এবং খাঁটি। তাই এই খাঁটি তত্তের মধ্যে কিভাবে আরো স্বচ্ছতা আনয়ন করা যায় সেইদিকে সকলের মনযোগ নিবন্ধ করে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। যদি সবাই স্বচ্ছ হয় তাহলে আর এই অসচ্ছতার বৃদ্ধাঙ্গুলি এই বেচারা নির্বাচন কমিশনের উপর বর্তাবে না। অনাস্থার যে ঢেউ বিরাজমান এবং পক্ষে গেলে সঠিক এবং বিপক্ষে গেলে বেটিক এর ফুলঝুড়ি তা দূরীভ’ত হবে। আমাদের সমাজে একটি ইতিবাচক এবং গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থার স্থান পাকাপোক্তভাবে লাভ করবে। অন্যের ষোল আনার চিন্তায় নিজের ষোল আনা বিসর্জন দিলেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। নতুবা সম অবস্থান সৃষ্টি এবং বিশ^াসযোগ্যতা দৃশ্যমান রাখা সম্ভব হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.