শ্রমিক

সাবিকুন নাহার মুক্তা

সুচনা লগ্ন থেকে যারা নিয়েছে গড়ার দায়িত্ব,
উপেক্ষা করে উত্তপ্ত রোদ আর ক্ষেপা বৃষ্টি।
পেশিবহুল কঠিন বাহু, পুড়া তামাটে অবয়ব,
ঘামে ঘামে ভেজা দেহ, শক্ত তপ্ত চরণ যুগল।
তাদের পরিচয় কর্মে, শ্রমে, ওরা যে শ্রমিক,
ওরা ভাঙ্গে পুরাতন, সৃজে নতুন ইতিহাস।
আছে অক্লান্ত পরিশ্রম, নেই বিশ্রাম অবকাশ,
কর্মকেই মান্য করে পরম ধরন বলে।
মৃত্যু ক্ষুধা খাবলে খায় প্রনিনিয়ত,
রোগ, শোক অসুখে, বিসুখে ঔষধ না জুটে।
নোংরা বস্তির জরাজীর্ণ ঘরে নিষ্ঠ বসত,
অভাব অনটনের মুহু মুহু নৃত্য তান্ডব।
সঞ্জীবনী শক্তি অর্জনের তরে লড়াই,
দাবি আদায়ের ময়দানে খেয়েছে বুলেট।
ওরা দূর্দমনীয়, মৃত্যু ও পারবে না দমাতে,
শ্রমিক অধিকার আদায় করেছে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে।
হাতুড়ি পেটায়, বাঁকা তেরা লোহায় মারে ঘা,
শোষক নির্যাতকের কালো হাত গুড়াবে ওরা।
নায্য মজুরি পায় না বটে যতটা ওরা খাটে,
করবে আদায় সকল পাওনা কালের বিবর্তনে।
যতটা পেয়েছে, পাওনা রয়েছে ঢের গুণ বেশী,
শ্রমিকের কাছে সকল ঋণ শোধরাবে বিশ্ববাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.