ঐক্যবদ্ধ আ’লীগকে মোকাবিলার শক্তি কোনো দলের নেই

প্রশান্তি ডেক্স॥ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ রংপুর বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে আমরা যদি শক্তিশালী হতে পারি, একই সঙ্গে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে আমাদের মেয়রপ্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সুতরাং, আমাদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আসাদুজ্জামান নূর, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি যে কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, তা হলো, সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য ধৈর্য, মেধা এবং দৃঢ়তা। আমরা জনগণের সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে চাই না; কিন্তু জনগণ যদি সমর্থন দেন, অবশ্যই আমরা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসবো।
ড. হাছান বলেন, গত ১১ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সমস্ত বিশ্ব যার প্রশংসা করছে, পাকিস্তান আক্ষেপ করছে, ভারতবর্ষ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করছে। এই উন্নয়নের বার্তাগুলো যদি জনগণের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পারি, একই সঙ্গে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যদি বিনয়ী হন, যারা উদ্ধত আচরণ করে, তাদের যদি আমরা নিবৃত্ত করতে পারি, তাহলে জনগণ অব্যাহতভাবে আমাদেরই ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন।
‘সরকার হচ্ছে দলের, সরকারের দল নয়; আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে দল, সে কারণে দলকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন। সাংগঠনিক শক্তির কোনো বিকল্প নেই। তবে পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের কারো কারো মধ্যে আলস্য এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু সুবিধাবাদীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন হয়েছে। সেখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছিল সংগঠনকে সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সেটি করা সম্ভব হয়েছে, পুরোপুরি হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষকে সামনে রেখে তার আগেই যারা সম্মেলন করবেন তাদের সম্মেলন সফল করতে হবে। নেহায়েত প্রয়োজন না হলে উপজেলা সম্মেলন বাদ দিয়ে জেলা সম্মেলন করা সমীচীন হবে না।
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.