প্রশান্তি ডেক্স॥ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংসদে জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৬ লাখ ২০ হাজার। এদের মধ্যে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। নতুন জেলেদের আইডি কার্ড বিতরণের লক্ষ্যে রাজস্ব খাতে কোড খোলা হয়েছে। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাতে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মামুনুর রশীদ কিরনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
মহিলা এমপি কানিজ ফাতেমা আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত বা অক্ষম জেলেদের আর্থিক সুবিধা দেবার লক্ষ্যে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে নিহত জেলে পরিবার বা স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেদের ‘আর্থিক সহায়তা নীতিমালা’ -২০১৯ প্রণয়ন করে। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিহত বা নিখোঁজ হলে তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে এবং উপরোক্ত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেকে ২৫ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। আর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে যদি কোন জেলের মৃত্যু হয় তাহলে তাদের জন্য বীমা সুবিধা দেবার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।তিনি আরও জানান, প্রতিবছর মে মাস থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। সে সময় উপকূলীয় ১২টি জেলায় নিবন্ধিত ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪টি জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে সর্বমোট ৩৫ হাজার ৯৪৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ দেয়া হয়েছে।