পুলিশের সঙ্গে যৌনকর্মীদের সংঘর্ষ

প্রশান্তি ডেক্স॥ জামালপুরে রাণীগঞ্জ যৌনপল্লিতে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে যৌনকর্মীরা। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু আব্দুল্লাহ খান অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে। মাদকবিরোধী অভিযানে মো. হালিম ও মো. আলম নামের দুজনকে আটক করা হয়। তবে আলমের বিরুদ্ধে কোনো তথপ্র্রমাণ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হালিমকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদন্ডা আদেশ দেওয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাবে গিয়ে অভিযোগ করেন যৌনকর্মীরা। তারা জানান, তল্লাশির নামে বেধড়ক মারধর করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসময় টেনেহিচঁড়ে তাদের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং সাতটি ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এতে যৌনপল্লীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, যৌনকর্মীরা মাদকবিরোধী অভিযানের সময় হামলা চালায় এবং পুলিশের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। তবে কোনো গুলির চালানো হয়নি। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালায় যৌনকর্মীরা। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। তাদের বিরুদ্ধে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দেওয়া হলে মামলা নেওয়া হবে।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু আব্দুল্লাহ খান বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হালিম নামের ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.