প্রশান্তি ডেক্স॥ খুলনা জিআরপি থানায় এক নারীকে ওসি উছমান গণি পাঠান একাই ৩ বার ধর্ষণ করেন। তারপর ধর্ষণ করেন মুখে বসন্তের দাগওয়ালা ডিউটি অফিসার। তারপর আরও ৩ জন ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় ৫ জনই কনডম (জন্মনিয়ন্ত্রন সামগ্রী) ব্যবহার করেন। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে ওই নারীর পরিবারের সবাইকে একটার পর একটা মামলা দেওয়ারও হুমকি দেন ধর্ষকরা।জিআরপি থানায় পুলিশের হাতে গণধর্ষণের শিকার নারীর দায়ের করা মামলা এজহারে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতেও ওই নারী এসব কথা বলেন। মামলা দায়েরের পর তা আদালতকে অবহিত করা হলেও এখনও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। গত ৯ আগস্ট সকালে দায়ের হওয়া মামলায় ধর্ষিতা নারী উল্লেখ করেন, গ্রেফতারের পর ডিউটি অফিসারের সহায়তায় ওসি তার উপর ব্যাপক নির্যাতন করেন। তারপর রাত দেড়টার দিকে তাকে চোখ বেঁধে থানার অপর একটি কক্ষে নিয়ে যায় ডিউটি অফিসার। ডিউটি অফিসার ওড়না দিয়ে তার মুখ বাঁধে। ওসি সেই কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। তারপর দেড় ঘণ্টা ধরে ওসি ৩ বার ধর্ষণ করেন। ওসি ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ডিউটি অফিসার প্রবেশ করে। ভেজা গামছা দিয়ে তার শরীর মুছে ডিউটি অফিসারও ধর্ষণ করে। এরপর আরও ৩ জন তাকে ধর্ষণ করে। এই বিষয়ে মামলা দায়ের করার জন্য আদালত থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার পর গত ৯ আগস্ট মামলা নেয় জিআরপি পুলিশ। প্রসঙ্গত, খুলনা জিআরপি থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য ৩ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করেছে বলে আদালতে দাঁড়িয়ে ৪ আগস্ট অভিযোগ করেন ওই নারী। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারী এই অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম ৫ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post