দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কি ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’

প্রশান্তি ডেক্স॥ র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) বাতিল করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে এই আবেদন করা হয়েছে। গত বুধবার (১১ মার্চ) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারোয়ার আলম পোস্ট করেছেন— “সততা, নিষ্ঠা আর শত চ্যালেঞ্জকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার?” আদালতে চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (সিসিবি ফাউন্ডেশন) এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও সংস্থাটির পরিচালক অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ওই আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, একই সময়ের মধ্যে দুই জায়গায় ( শিশুমেলা ও ফার্মগেট) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে, যা ক্ষমতার অপব্যবহার। একই সাক্ষীরা বারবার বিভিন্ন জায়গায় এসেছেন। এক ধারার অপরাধ দেখিয়ে ভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। চলন্ত ভ্যান থেকে কলা চুরির অপরাধে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে, যা ভ্রাম্যমাণ আদালত দিতে পারেন না। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজাও বাতিল করেছেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত বুধবার (১১ মার্চ) হাইকোটের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেওয়া দন্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দন্ডে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশে পরে এসব শিশুদের মুক্তি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.