প্রশান্তি ডেক্স॥ রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বর-কনেবাহী দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দুটি লাশ উদ্ধারের সময় উদ্ধারকর্মীরাও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। পানিতে ডুবে থাকলেও শামীম হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি তার সাত বছরের মেয়ে রশ্নি খাতুনকে বুকেই জড়িয়ে রেখেছিলেন। রশ্নিও ধরে ছিলেন বাবাকে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে যেখানে নৌকা ডুবে যায় সেখানেই শনিবার বিকালে তাদের লাশ পাওয়া যায়। পাশেই পাওয়া যায় ডুবে যাওয়া নৌকাটি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। এমন দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লত হয়ে ওঠেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, ছোট্ট মেয়েটার ভরসার জায়গা তার বাবা। সেই ভরসাতেই হয়তো মেয়েটা তার বাবাকে ধরে ছিল। আর তার বাবাও তাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। একজন বাবা তার মেয়েকে যে কত ভালোবাসেন তা হয়তো এ দৃশ্যেই বোঝা যায়। এ কথা বলতে গিয়েই কণ্ঠ ভারি হয়ে ওঠে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তার। নিহত শামিম কনে সুইটি খাতুনের চাচা। সুইটিসহ এখনো তিনজন নিখোঁজ। নৌকাডুবিতে শামিমের স্ত্রী মনি খাতুনও (৩০) মারা গেছেন। সকালে তার লাশ উদ্ধার হয়। নৌকাডুবি থেকে প্রাণে বেঁচে আসা এক তরুণীর ভাষ্যমতে, মনি খাতুন সাঁতার কাটতে কাটতে তার ছেলে আলভিকে (১২) উদ্ধার করতে যাওয়া ট্রলারে তুলে দেন। কিন্তু নিজে আর উঠতে পারেননি। আর মেয়েকে ধরে রেখে উঠতে পারেননি তার স্বামী। এই পরিবারটিতে ছেলে আলভি ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। আলভি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post