বোনকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাই খুন

প্রশান্তি ডেক্স॥ কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্কুলছাত্রী ছোট বোনকে উত্তক্ত করার প্রতিবাদ করায় গ্রাম্য শালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত আসলাম ছুরি চালিয়ে ওই ছাত্রীর চাচাতো ভাইকে হত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর আড়াইবাড়ি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল আউয়াল (৩০) ওই গ্রামের ধুনু মিয়ার ছেলে এবং ঘাতক আসলাম একই গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আরও অন্তত আরও ৮-৯ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার। ওই স্কুলছাত্রীর পিতা আহত আবদুস সাত্তার জানান, তার মেয়ে এ বছর স্থানীয় গঙ্গামন্ডল রাজ ইনস্টিটিউশন থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষার আগে থেকেই একই গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আসলাম (২২) তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান অফিসে একাধিকবার বিচার শালিস হলেও আসলামকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়ে তার নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কালিকাপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। পরে ওইদিন দুপুরের দিকে সে নানার বাড়ি থেকে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে তার খালার বাসায় চলে যায়। কিন্তু বখাটে আসলাম খবর পেয়ে নানার বাড়ি কালিকাপুরে গিয়ে তার মেয়েকে দেখতে না পেয়ে কোথায় লুকিয়ে রেখেছি জানতে চায়। তাকে বের না করে দিলে সবাইকে হত্যা করা হবে বলেও চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। পরে এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের দোকানের সামনে বিচার শালিশ বৈঠক ডাকা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শালিসের এক পর্যায়ে আসলামসহ আরও ১০-১২ জন সহযোগী উত্তেজিত হয়ে ওই ছাত্রীর স্বজনদের কোপাতে থাকে। হামলার এক পর্যায়ে আসলামের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ওই ছাত্রীর জেঠাতো ভাই আবদুল আউয়ালের ঘাড়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আউয়াল মারা যায়। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, আবদুল আউয়াল নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসলামের পিতা মো. ছিদ্দিকুর রহমান পুলিশী হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আসলামের বড় ভাই আকিজকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের অভিযান চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.