মুন্সিগঞ্জে তিন একর জমিতে পপি চাষ

প্রশান্তি ডেক্স॥ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চরবানিয়ালে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পপি চাষ করা হয়েছে। প্রায় তিন একর জমিতে এ পপি চাষ করা হয়। পপি ক্ষেতের মালিককে না পেয়ে আলামত হিসেবে পপি গাছ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত রোববার (০৮ মার্চ) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনের নেতৃত্বে পপি ক্ষেতে অভিযান চালানো হয়। গড়ী চষধুবৎসহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা যখন চরবানিয়ালে যাই সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় পপি চাষ হয়েছে দেখতে পাই। কিন্তু ক্ষেতের কোনো মালিককে পাওয়া যায়নি। ক্ষেতের ফসল আগেই কেউ নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো আর ব্যবহার উপযোগী নেই। আলামত হিসেবে আমরা কিছু পপি গাছ জব্দ করেছি। তিনি আরও বলেন, যেহেতু পাঁচ কেজি পরিমাণের চেয়ে বেশি তাই এটি এখন আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ারে নেই। পুলিশ নিয়মিত মামলা করবে। জব্দকৃত পপি গাছ পরীক্ষার জন্য কৃষি অধিদফতরে পাঠানো হবে। স্থানীয় সূত্র জানায়, পপি মাদকদ্রব্যের গাছ। পপি গাছের ফল যখন পরিপক্ব হয় তখন ব্লেড দিয়ে ফলের গায়ে গভীর করে আঁচড় দেয়া হয়। এতে ৫-৬ ঘণ্টা পর ফল থেকে কষ বের হয় এবং চাষিরা তা সংগ্রহ করেন, যা আফিমের কাঁচামাল হিসেবে বাজারজাত করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া অন্যান্য উপজাত জৈব রাসায়নিক দ্রব্য বানানো হয়। এটি থেকে হেরোইন ছাড়া ও মরফিন পাওয়া যায়, যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গাছটিতে বিভিন্ন রঙের ফুল হয়। যেমন- লাল, হলুদ ও সাদা। মুন্সিগঞ্জের গাছগুলোতে সাদা রঙের ফুল ছিল। তবে সব পপি ফুল থেকে মাদকদ্রব্য তৈরি হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.