চট্টগ্রামের ফুটপাতে ‘নিম্নমানের’ টাইলস বসানো বন্ধ করলেন মেয়র

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক ॥ চট্টগ্রাম নগরের পোর্ট কানেকটিং (পিসি) ফুটপাতে ‘নিম্নমানের’ টাইলস বসানোর অভিযোগ উঠেছে। ফুটপাত সংস্কারের কাজ চলাকালে সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নিজে দেখতে গিয়ে এই অভিযোগের প্রমাণ পান। এ সময় টাইলসকে ‘নিম্নমানের’ উল্লেখ করে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন মেয়র। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের নিমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কাজ চলাকালে প্রকৌশলী ও সুপারভাইজার উপস্থিত না থাকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী ও সুপারভাইজারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন তিনি।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের পিসি রোডের উন্নয়নকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাহের অ্যান্ড ব্রাদার্স। সড়কের উন্নয়নকাজের পাশাপাশি ফুটপাতের উন্নয়নও করছে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণকাজের সময় উপস্থিত না থাকায় উপসহকারী প্রকৌশলী মিনহাজ উদ্দিন ও সুপারভাইজার মো. আরিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাহের অ্যান্ড ব্রাদার্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ নূর প্রথম আলোকে বলেছেন, টাইলসগুলো নিম্নমানের না। কিন্তু দ্রুত কাজ শেষ করার তাড়া থাকায় ঠিকমতো স্থাপন করা হয়নি। এ বিষয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ দেখার জন্য তিনি ঝটিকা সফরে বের হয়েছিলেন। একপর্যায়ে পিসি রোডের কাজ দেখতে যান। এ সময় নিমতলা এলাকায় ফুটপাতে টাইলস বসানোর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু ফুটপাতে যেসব টাইলস বসানো হচ্ছিল, সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। আবার সেখানে করপোরেশনের দায়িত্বশীল কোনো প্রকৌশলীও উপস্থিত ছিলেন না, যা দুঃখজনক। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিদর্শন শেষে স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেন রেজাউল করিম। নিম্নমানের কাজ চলার পরও এ বিষয়ে তাঁকে অভিযোগ না জানানোর কারণ জানতে চান তিনি। উপস্থিত লোকজন বলেন, সরকারি কাজ হওয়ায় তাঁরা কিছু বলেন না। এই কথা শুনে মেয়র তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা আপনাদের কাজ। আপনাদের টাকা দিয়ে হচ্ছে। তাই এখন থেকে এসব দেখবেন। প্রয়োজনে আমাকে ফোন করে জানাবেন।’ এ সময় মেয়র নিজের মুঠোফোন নম্বর দেন তাঁদের। মেয়রের নির্দেশে দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই ধরনের টাইলস ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে বিল দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.