ঢাকার যানজটে ‘হয়রান’ যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিলর আজরিন

প্রশান্তি ডেক্স ॥ প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান অভিবাসী হিসেবে নির্বাচিত ডালাস সিটি কাউন্সিলর আজরিন আওয়াল বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিটি কাউন্সিলর হিসেবে সেখানকার একাধিক মিটিং বাংলাদেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করেছি। নিজের দেশে বসে সেখানকার মিটিং করতে পারা আমার কাছে একটা ভালোলাগার বিষয়। কিন্তু আমি বাংলাদেশে এসে ট্রাফিক জ্যামে (যানজটে) হয়রানির শিকার হয়েছি। গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুব সহযোগিতার বিষয়ে’ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলা বিপ্লব। আজরিন আওয়াল বলেন, আমি বাংলাদেশের মেয়ে, কিন্তু বড় হয়েছি আমেরিকায়। বিদেশে বসে চিন্তা করতাম, আমি বাংলাদেশে থাকলে কী করতাম। দেশের প্রতি আমার দায়িত্ববোধ নিয়ে চিন্তা করি।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের এই সিটি কাউন্সিলর বলেন, সম্পূর্ণ একটা বিদেশি সংস্কৃতিতে বড় হয়ে বাংলা ও আমেরিকা দুই সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সেখানে বড় হয়েও বাংলাদেশি সংস্কৃতি লালন করা, বাংলায় কথা বলা- এসবের পেছনে পরিবারের একটা ভূমিকা রয়েছে। যা আমার পরিবার পালন করেছে। আমি সেখানে বসে বাংলাদেশকে অনুভব করি। আলচনা সভায় বাংলা বিপ্লবের সভাপতি সাকিব আলী বলেন, আজরিন বাংলাদেশি হয়ে বিদেশের মাটিতে সিটি কাউন্সিলর হয়েছেন। আমরা তো বাংলাদেশে ভোটই দিতে পারি না। আমাদের দেশে তো নির্বাচনই হয় না। সেই জায়গা থেকে আমাদের দেশের প্রতিটি তরুণকে আজরিনের জায়গায় আসতে হবে। আমাদের তরুণদেরকেও নির্বাচন করে জিতে নেতৃত্বে আসতে হবে। যেসব তরুণ বিদেশের মাটিতে ভালো অবস্থান তৈরি করছেন, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের তরুণদের সম্পর্ক স্থাপন করে একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ করার আশ্বাস দেন সাকিব আলী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.