হিসেব নিকেশে এখন গড়মিল

জীবনের হিসেব-নিকেশ এবং কর্মের হিসেব-নিকেশ, চাওয়া-পাওয়ার হিসেবে-নিকেশ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের হিসেব-নিকেশ, ইতিহাসের হিসেব-নিকেশ, রাজনীতির হিসেব নিকেশ, ধর্ম-কর্মের হিসেব-নিকেশ, ষড়যন্ত্রের হিসেব-নিকেশ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানারকম অজানা এবং অশনীসংকেতের হিসেব নিকেশ। এই সকল হিসেব নিকেশে রয়েছে যোযন যোযন ফারাক, তেমনি রয়েছে গড়মিল এবং পাওয়া না পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা ও নেতিবাচক সকল প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য রূঢ় রূপ। ১৯৭২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পরখ করা বিষয়গুলিকে নিয়ে গড়মিলের খাতা ভরপুর তারপরও আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলা দূরূহ হয়ে পড়েছে। তবে মানুৃষের প্রয়োজনের শেষ বলে কি কিছু নেই? হ্যা এইখানেই আমার সকল কিছু গড়মিলে পরিণত হয়েছে। জীবনের শেষ বাশী বাজার পূর্বেই ঐ গড়মিলের খাতার ইতিটানা প্রয়োজন তবে এই প্রয়োজন বা প্রয়োজনীয়তার দিকে কেউ মনযোগী নয় বরং বাহ্যিক এবং জাগতিক প্রয়োজনের দিকে মনযোগী হয়েই জীবনের বারোটা বাজিয়ে পরপাড়ে পারি জমান।
মানুষের কি নেই? জ্ঞান-বুদ্ধি, বিবেক-বিবেচনাবোধ, ভাল-মন্দ বোঝার ক্ষমতা, সুস্থ-সবল দেহ ও মন, সৃষ্টিকর্তার সিফতে সৃষ্টি এবং তাঁর আশির্বাদে পরিপূর্ণ এক একজন সৃজনশীল মানুষ। তারপরও রয়েছে খ্যাঁ খ্যাঁ করা গড়মিল ও অভাব। জাগতিক সম্পদ, লোভ-লালসা, অর্থ ও বিত্ত, ক্ষমতা ও পদ, নারী ও নারীর দেহ, সন্তান-সন্ততি, গাড়ি-বাড়ি, দেশ-বিদেশ ভ্রমন এমনকি স্থায়ী হওয়ার খায়েশ, কামনা-বাসনা, মুখরোচক খাবারসহ আরো বাহারী রকমের কত কি? তবে এইসকলে একে বা দুয়ে অথবা প্রয়োজনের তুলনাম বেশীতেও সন্তুষ্ট নয়। এই রকম কি বাবা আদম ও মা হাওয়া দ্বারা সৃষ্ট পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবদি পৃথিবীতে আগমনকারীদের মধ্যে বিরাজমান? হ্যাঁ আজ অবদি বিরাজমান তবে এই মাত্রা এবং প্রক্রিয়া ও নাম এমনকি কৌশলের শুধু বদল হয়েছে বা খোলসটা শুধু পাল্টিয়েছে মাত্র। তবে আমি আজ একটি প্রশ্নই করব যে, ঐসকল বিষয়গুলোই কি আমাদের মাঝে উকি দেয় না; হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি দেয় কারণ পাপ স্বভাব আমাদের সকলের মাঝেই বিরাজমান এবং শয়তান বা ইবলিশ ঐ পাপ স্বভাবগুলোকে চেতনা দিয়ে পূর্ণতা দেয়ার সকল ব্যবস্থাই করেন আর আমরা ঐ ব্যবস্থায় স্বীকারে পরিণত হয় এবং সৃষ্টিকর্তার একক মালিকানা থেকে ইবলিশের মালিকানায় স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধি হয়। আমি বিশ্বাস করি আমার এবং আপনার ক্ষেত্রে ঐ একই বিষয়ের উদয় ঘটে; যেহেতু আমরা মানুষ তবে সৃষ্টিকর্তা এবং মানুষের সংমিশ্রণে সৃষ্ট একজনই কেবল এই সকল বিষয়ের উর্দ্ধে থেকে আমাদেরকে জীবন, যৌবন এবং যাবতীয় পার্থিব শিক্ষায় শিক্ষীত করার ব্যবস্থা জাগ্রত করে রেখে গেছেন। তবে আমি সেই দিকে না গিয়ে শুধু বলতে চাই যে, বিগত ’২১ সনের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলাতে গিয়ে ফিরে আসি পৃথিবীর শুরু থেকে মহান ও মহামানবদের জীবনের শুরু এবং শেষ গন্তর্বের কাহিনীলোকে।
কেউ ক্ষমতা পেয়েছে আর কেউ ক্ষমতা হারিয়েছে, কেউ অর্থ পেয়েছে, আর কেউ অর্থ হারিয়েছে, কেউ কেউ ষঢ়যন্ত্র করে সফল হয়েছে আবার কেউ কেউ সফল হয়নি, কেউ রাজনীতি এবং নীতিকে সফল করতে মরীয়া হয়ে এগিয়েছে আবার কেউ কেউ বিফল হয়েছে, কেউ কেউ দল সাজিয়েছে আবার কেউ কেউ দল সাজাতে ব্যর্থ হয়েছে, সরকার তাঁর কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেছে এবং সেই অনুযায়ী চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়েছে আবার হয়তোবা সফল হয়নি, তবে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো বিভিন্ন অফিস এবং আদালত দখল করে বসে আছে; স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায়, সরকারে, বিরোধীদলে এমনকি রাজনৈতিক সংস্করণে দেশ বিরোধীদের এবং এদের দোসরদের দখলে এখনও এদের রমরমা অবস্থান। দেশের শত্রুরা যেন এখন তাদের হারানো প্রাণ ফিরে পেয়েছে অথবা বর্তমানে তাদের প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ’২১শে যা পাইনি তারা এখন তা পাইতে মরিয়া। অশুভ এবং হায়েনার দল এখন পাগলপ্রায় অবস্থায় বিচরণ করে যাচ্ছে তাই সাবধান হউন এবং শেষ পরিণতির কথা বিবেচনায় এনে সংশোধনের চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করান।
বিশ্ববিক্ষায় করোনায় বেসামাল অবস্থায়ও আমাদের শিক্ষা হয়নি বরং আরো বেপোরিয়া ও মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্বার্থের জন্য মানুষ এখন মরিয়া এবং সাথে সাথে মানুষের গর্বের এমনকি অহংকারের মনুষত্ব প্রায় বিলুপ্তির পথে। জগতসংসারে মানুষের আবেগ ও বিভেক এমনকি মানবিক গুণগুলো বিলুপ্তির পথে তবে কেউ কেউ তা এখনও ধরে রাখতে এবং খুজে পেতে চেষ্টা ও চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফলের প্রত্যাশা বা প্রত্যাশিত অর্জন অনুপস্থিত রয়েছে। গত বছরটি সার্বিক দিক দিয়ে ও সার্বজনীন বিচারে অস্বস্তির ছিল সকলেরই কাছে। আর বর্তমান বছরটি হওয়ার কথা ছিল স্বস্তির কিন্তু সেই স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বা ধরে রাখতে মরিয়া এখন সরকার কিন্তু পরিস্থিতি ও পরিবেশ ঐ স্বস্তির বিপরীতেই অবস্থান করে যাচ্ছে। তবে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেই চেষ্টায় ইবলিশাক্রান্তদের প্রচেষ্টায় স্থিরতা এমনকি চিরতরে বন্ধ হওয়ার উপক্রমও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই বিগত দিনগুলিতে যা হয়নি তা এখনই শেষ করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের অপসারণে সরকারে, অফিসে-আদালতে এমনকি সমাজের সর্বক্ষেত্রে একটি চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে আগামীর নিশ্চিত সম্ভাবনাকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
বর্তমানে আওয়ামীলীগ এবং সারকার এই দুইয়ের শত্রু এই দুই-ই। বাহিরের শত্রুর কোন প্রয়োজন নেই এই দুইকে বিপদসংকুল করার জন্য। বর্তমান আওয়ামী লীগকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং দলীয় ঐক্য ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দলীয় বিভেদ নির্মুল করতে হবে। সরকারের ভাবমূর্তী সমুজ্জ্বলে কাজ করতে হবে। অফিস আদালতে পরিচ্ছন্নতা আনয়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে এনজিও ব্যুরো, এসবি, এনএসই এবং ট্যাক্স ও ভ্যাট এর স্থানকে বিএনপি ও জামাতমুক্ত করতে হবে। তাদের দখল থেকে মুক্ত করে আওয়ামী এবং স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বসাতে হবে এবং ক্ষমতার প্রথম সারিতে এনে সরকারের ও দেশের স্থীতি সুনিশ্চিতকরণের কাজটুকু সুসম্পন্ন করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দলের পদে শান্ত, শিক্ষিত, ভদ্র, এবং নিরীহ ও ভদ্র পরিবারের মেধাবী সামাজিক লোকদের বসাতে হবে, সমাজের দাপটশালী বা লাঠিয়াল বাহিনী অথবা লুটেরা বা সন্ত্রাসীদের ক্ষমতা এবং দলীয় পদ উভয় থেকেই বিতারিত করতে হবে অথবা নতুন করে আর ঐসকল ঝামেলাকে সংযুক্ত করা যাবে না। এই পরিচ্ছন্নতা বা স্বচ্ছতার এমনকি জবাবদিহীতার অথবা অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দতার বছর হউক এই ’২২। সুতরাং এই সময় ও সুযোগকে হাতছাড়া করা যাবে না। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশের গড়মিল এখন চুকাতে হবে। ১৩ বছর সময়ে সকল ওয়াদা পূরণ হয়েছে এবং নতুন ওয়াদা পুরণের রাস্তা প্রসস্তকরণে মনোযোগ দিতে হবে। সংস্কার আসন্ন তাই দল ও সরকারে এমনকি অফিস আদালতে সংস্কারের কঠিন কাজটুকু সম্পন্ন করতে হবে। বিদেশী মহল যে মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে অন্তরের খবর বের করে নেয় এমনকি যাদের অপকর্মের মাধ্যমে দেশ ও সরকার এবং উন্নয়ন আর স্থিতিশীলতার বারোটা বাজার অশনীসংকেত দৃশ্যমান হচ্ছে সেই জায়গাগুলোকে পরিচ্ছন্ন করে মজবুত অবস্থান তৈরীতে কাজ করতে মনযোগী হতে হবে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই বরং মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে গতি সঞ্চারিত করে আগ্রাসী মনোভাবে ক্ষতির সকল স্তরেই বিস্তার লাভ করে ধ্বংসকে বিধ্বংস করার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এই ক্ষেত্রে সুনিদিষ্ট কোন সহযোগীতার প্রয়োজনে শতভাগ উজার করে দল, সরকার, দেশ এবং বর্তমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা ও সহযোগীতা অব্যাহত রাখব।
সবার পাওয়া না পাওয়ার সঙ্গে আমার জীবনের হিসাব মিলে না বরং আমার যা পাওয়ার তা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পেয়েছি এবং নিশ্চিত আগামীর গন্তব্যের নিশ্চয়তা সুনিশ্চিত করেছি। সুতরাং আর পাওয়ার কোন আকাঙ্খা নেই। তবে বর্তমানে সরকারের নিকট থেকে কি পাচ্ছি তা ভেবে ও দেখে খুবই সুখের এবং আনন্দের সাগড়ে ভাসছি। এযাবতকাল যাই লিখেছি তার সন্তোষজনক ফল পেয়েছে। প্রতিটি সম্পাদকীয় এর লিখার মূল্যায়ন হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে; এতেই প্রশান্তির স্বার্থকতা খুজে নিচ্ছি। জন্মের পর থেকে পাওয়ার আশায় কোনকিছু করিনি বরং দেয়ার আশাই সবই করেছি এবং দুইহাত ভরে দল, দেশ ও সরকারকে দিয়েছি। তবে আমার সরকারের কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত দু:খের এক শিক্ষা পেয়েছি যা সামলে উঠে সকলকে ক্ষমা করে আরো বেশী দেয়ার মানষিকতায় খোদার সহচর্যে এগিয়ে যাচ্ছি। সকলের জন্যই পথ, মত, আলো এবং পাপের ক্ষমা উন্মুক্ত। যে কেউ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐ পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে আর সেই আঙ্গিকে সৃষ্টিকর্তাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে হৃদয়ের সিংহােনে আসীন করান। তাহলেই আগামীর কল্যাণ এবং মসৃণ পথ আপনার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। জীবনের প্রয়োজনে সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে সৃষ্টিকর্তার সহভাগিতায় পৃথিবীকে বেহেস্তি বাগানে পরিণত করার সকল কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। রাজনীতি, নীতি, ধর্ম-কর্ম, সেবা-পরামর্শ, দান এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও লোভ-লালসা সবই বেহেস্তি কল্যাণে নিবেদিত করুন যা সকলের নিজের নয় এই মনোবৃত্তি নিয়ে আগামীর বিপদকে মোকাবিলা করুন।
করোনার নুতন নতুন সংস্করন আসছে এবং আসবে কিন্তু আপনাকে কে বাচাঁবে? টিকা/অর্থ-বিত্ত/ সামাজিক মর্যাদা/ পদ-পদবী/ক্ষমতা না আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা)? একটু ভাবুন এবং সেই ভাবনার আলোকে আপনার আগামীর হিসেব-নিকেশ মিলান আর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জবাবদীহিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তাদের ১৩ বছরের কর্মকান্ড নিয়ে এমনকি ৩য় মেয়াদের ৩য় বর্ষপূর্তী ও ৪র্থ বর্ষে পদার্পনের শুরুতে। হ্যাঁ তিনি তার সকল ওয়াদা পূরণ করেছেন এবং নতুন ওয়াদার পুরণার্থে পদক্ষেপ নিয়ে জনগণকে জানিয়েছেন এমনকি আগামীর দিকনির্দেশনা ও সেবার দায়িত্ব পাওয়ার দাবিদার হিসেবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন আপনার আমার করনীয় কি? তবে আমরাও বলতে পারি যে আপনিও আমাদেরকে সঙ্গে রাখার জায়গাটুকু আরো প্রসস্থ করুন এবং সকলের প্রতি সমান দৃষ্টি দিয়ে আগলে রাখার ব্যবস্থা সচল রাখুন। যাদের উপর দায়িত্ব তারা ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা একটু পরখ করুন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি ও থাকব কিন্তু কোন না কোন ভাবে আমাদেরকে দুরে ঠেলে দিয়ে আমাদের শুন্যস্থানে রাঘব বোয়াল ও স্বাধীনতা এবং সরকার বিরোধী সুমিষ্টভাষী বন্ধুদের নিবেন না। কারণ তারাই আগামীর অশনী সংকেত। তাই জন্মগত অধিকারে যারা আপনার; যারা শুধু দিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে ও যাবে; যাদের কোন পাওয়ার আকাঙ্খা নেই সেই তাদেরকে বাচিঁয়ে রাখুন এবং তাদের খোজ খবর নিয়ে আগামীর যাত্রা আরো মজবুত করুন। প্রয়োজনে এই বিষয়ে আরো সুনিদিষ্ট পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করতে প্রস্তুত। হিসেব-নিকেশের সকল গড়মিল চুকিয়ে নিতে আরো মনযোগী হউন এবং ন্যায়পালের ভুমিকায় কাউকে অধিষ্ঠিত করিয়ে কার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা তরান্বিত করুন। দিনের শেষে রাত আর রাতের শেষে দিন এই চিরন্তন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং দল ও সরকারকে ঐ আঙ্গিকে চালিয়ে নিতে আপনিই পারেন এবং পেরেছেন ও পারবেন এই বিশ্বসেই আগামীর কল্যাণকামী ভাবনা নিয়ে আসার প্রখরগুণে আজকের সমাপ্তী টানছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.