ভিজিডি দু:স্থ নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে

বা আ ॥ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। যা দুঃস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ভিজিডি কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশের দারিদ্রপীড়িত এবং দুঃস্থ গ্রামীন মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক উন্নয়ন করা যাতে, তারা বিদ্যমান খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা এবং নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অবস্থানকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্র স্তরের উপরের অবস্থানে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চুক্তিবদ্ধ এনজিওর নির্বাহী পরিচালকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, তিনি বলেন, আজকের এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় উপস্থিত এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিদের প্রতি আমার আহবান, আপনারা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অন্যতম অংশীদার। ভিজিডির মাধ্যমে দুঃস্থ নারীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে আপনাদের যে দায়িত্ব তা শতভাগ নিষ্ঠার সাথে পালন করুন। সরকারও আপনাদের ভাল কাজের ইতিবাচক মূল্যায়ন করবে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সারাদেশব্যাপী দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার ভিজিডি উপকারভোগী মহিলাদের পরিবারগুলোকে অন্তত বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত রাখবেন। পাশাপাশি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এনজিওদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি অনুদান যথাযথভাবে ব্যয় করারও আহ্বান জানান তিনি। এসময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার লোকজন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে টিকে আছেন। এসব লোকজন ৩/৪ বছরে কোন রকমে কিছু সঞ্চয় করে মাথা তুলে দাঁড়ায়। আবার বন্যা, ঝড়ে তাদের জীবন শুন্য হয়ে যায়। তিনি এনজিও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এসকল অসহায় লোকদের জন্য গুরুত্ব দিয়ে কাজ করুন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব ডাঃ আ.এ.মো. মহিউদ্দিন ওসমানী, অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব এ.কে. এম শামিম আক্তারসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তরসংস্থা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। কর্মশালায় সুলতানা আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী এবং সোসাইটি ফর স্যোসাল এভাসমেন্ট ফর রুরাল পিপল (সার্প) এর নির্বাহী পরিচালক মো: আবুল হোসেন এনজিও প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.