কুড়িল থেকে বাণিজ্যমেলা যেতে তিন ঘণ্টা!

প্রশান্তি ডেক্স ॥ ছুটির দিনে রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তা সাধারণ ফাঁকা থাকে। তবে গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পযন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিনে যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে। ফলে আধাঘণ্টার পথে সময় লাগছে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। এ কারণে মেলায় পৌঁছাতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাণিজ্যমেলা রাস্তায় সকাল থেকেই যানজট শুরু হয়। দুপুরের দিকে রাস্তায় গাড়ির চাপ আরও বাড়তে থাকে। বিশ্বরোড থেকে বাণিজ্যমেলা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের পথে বেশিরভাগ জায়গাতেই যানজট রয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে যানজটও দীর্ঘ হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল সড়কে চলছে উন্নয়নকাজ। পাঁচটি আন্ডারপাস নির্মাণাধীন। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানা-খন্দ এবং খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশেই ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি। সরেজমিন দেখা গেছে, যে স্থানে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানে একটিমাত্র লেন চালু রাখা হয়েছে। ফলে কয়েক লেনের গাড়ি এসে এক লেনে ঢোকার সময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আন্ডারপাসের আগে ও পরের অংশে কিছুটা পথ এখনও ভাঙাচোরা। সেখানে থেমে থেমে গাড়ি যাচ্ছে। শান্তিনগর থেকে মোটরসাইকেলে মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন ওবাইদুল হক। তিনি বলেন, ‘কুড়িল পর্যন্ত ভালোই এলাম। এরপর থেকে জীবন ঝালাফালা। প্রচন্ড যানজট আর ধুলাবালি। কোথাও কোথাও আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তার কাজ না হলে কুড়িল থেকে আধঘণ্টায় এখানে আসা যেতো। সেখানে এখন দেড়-দুই ঘণ্টা লাগছে। মেলার আগে এ রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ করা উচিত ছিল। তাহলে এ ভোগান্তি পোহাতে হতো না।’ বাসে যারা বাণিজ্যমেলায় এসেছেন, তাদের অবস্থা আরও বেগতিক। মিরপুর থেকে বিআরটিসি বাসে আসা দর্শনাথী মাহফুজা মিলা বলেন, ‘পল্লবী থেকে বিশ্বরোড এসেছি এক ঘণ্টায়। সেখান (বিশ্বরোড) থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।’ অন্যদিকে মেলায় প্রবেশের আগে কাঞ্চন ব্রিজ থেকে কিছুটা পথ সরু। ফলে সেখানে অটোরিকশা ও ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে প্রবেশমুখেও যানজট তৈরি হচ্ছে। আবার মেলা থেকে ফেরার পথে কাঞ্চন ব্রিজের নিচের রাস্তায় ইউটার্নের কারণে দীর্ঘ যানজট হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.