নির্বাচন কমিশন আইন ও কার্যকরী সংসদ

সদ্য উত্থাপিত হওয়া নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে একটি প্রাণবন্ত সংসদ উপভোগ করল জাতি। এই সংসদ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হলেও রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর আলোচনার কথা বা রেওয়াজ থাকলেও তাতে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে এই নির্বাচন কমিশন গঠন আইন। এই আইন করণের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সুজন এমনকি সার্চ কমিটি অথবা গত ৫০ বছরের ব্যর্থতা ঘোচানোর অভিলাষ সবই প্রত্যক্ষ করলো জাতি। যদিও বর্তমান সরকার এবং সরকার প্রধান তাঁর আন্তরিকতা এমনকি সুদুর প্রসারী চিন্তার নিরন্তর বহি:প্রকাশ হলো আজকের অধিবেশনে বহুল কথিত ও কাংখিত এবং সময়োচিত আইনটি সর্বসম্মতক্রমে পাস হওয়ার মাধ্যমে। জাতি বহুদিন পর দেখেছে সংসদে প্রানবন্ত বক্তব্য উপস্থাপন এবং মিথ্যাযুক্তিকে সত্য যুক্তি দিয়ে খন্ডন এমনকি সংসদদেরকে আইন সম্পর্কে, ইতিহাস সম্পকে তথাপি সংসদীয় রীতি ও নীতি সম্পর্কে শিক্ষাও দিয়েছেন। অনেকে শিক্ষা নিয়েছেন এমনকি দেশবাসী এই সংসদ অধিবেশন থেকে অনেক শিখেছে এবং জেনেছে তবে সবই সম্ভব হয়েছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং ভদ্রচিত শুভ এবং ইতিবাচক সংস্কৃতির দৃশ্যমান চর্চার মাধ্যমে।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বহু কল্পকাহিনী এবং রূপকল্প শুনেছে এবং দেখেছে এই হতভাগা জাতি। তবে এর অবসানকল্পে বর্তমান সরকারের তড়িৎ পদক্ষেপে সকল জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটেছে। তবে সমালোচকগণ এখন সুযোগ খুজতে চেষ্টা করে যাচ্ছে যেন এই সুযোগ নিয়ে জল ঘোলা করে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে পারে। তবে বর্তমানে ভাল কাজ করলেও দোষ আর না করলেও দোষ; বলুনতো এখন যাই কোথায়? তবে সরকার এবং আইন মন্ত্রনালয়ের কর্ণধার আমাদের অতি আদরের ও শ্রদ্ধার প্রীয়পাত্র জনাব আনিছুল হক সাহেব শক্তহাতে বিজ্ঞতার সাথে এইসকল মোকাবিলা করেছেন। জাতি প্রত্যক্ষ করেছে একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টেরিয়ান ও সৎ এবং স্বাধীনতার পক্ষের এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন ¤্রয়িমান হতে না দিয়ে বরং অতিযতœ ও শ্রদ্ধায় এবং ভালবাসায় লালিত করে জাতির সামনে সুচিন্তিতভাবে গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপনের মাধ্যমে আশ্¦স্ত করে নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েগেছেন আগামীর দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার গতিময় এক প্রস্ফুটিত মানদন্ড। অনেকে ষঢ়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছিলেন এবং এই ষড়যন্ত্রকে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের গন্ডিতে প্রবাহিত করে দেশবিরোধী এমনকি উন্নয়কামী সরকার বিরোধী চক্রান্ত বেগবান করেছিলেন। কিন্তু এই সকল বেগবান চক্রান্ত আজ পরাভুত এবং চক্রান্তকারীরা মুখ থুবরে পড়ে উন্মাদ হয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের সন্ধানে প্রায় পাগলপ্রায়। যাই হউক সরকার আইন প্রণয়ন, উপস্থাপন, মতামত শ্রবন ও গ্রহন করে সংশোধন, সংযোজন এবং বিয়োজনের মাধ্যমে সকলের আস্থা অর্জন করে; সকলের মতামত নিয়ে সর্বসম্মতক্রমে পাস করিয়ে আইনে পরিণত করার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কাজে সফলতা দেখিয়েছে। এতেই সরকারের বিজ্ঞতা এবং প্রাজ্ঞতা এমনকি উত্ত্বপ্ত মরূভুমির ভালুকণায় শিতল ইতিবাচক যোগপোযোগী পানি /জল ঢেলে নিবৃত করেছেন তৎসম সকল ষঢ়যন্ত্র।
আসুন আমরা সবাই মিলে সরকারকে সহযোগীতা করি ঐ আইনকে সফলভাবে প্রয়োগ করার জন্য। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর স্বীয় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে দিকনির্দেশনা বা গাইডলাইন পেলেন তাকে স্বযতেœ লালন ও পালন করতে সকলের অব্যাহত সহযোগীতা ও সমর্থন একান্ত প্রয়োজন। আর এই প্রয়োজনেই নিহিত রয়েছে আগামীর নিশ্চিত পথচলায় চলমান ধারাবাহিকতাকে নিয়ে গর্বভরে এগিয়ে যাওয়ার সুপ্রসস্থ পথ। হ্যা বাংলাদেশ জন্মের পর এভাবেই সকল কিছু হয়েছে এবং আগামীতেও হবে কিন্তু কোনকিছুই অতিসহজে বা বিনাবাক্যে অথবা নেতিবাচক আক্রমণবিহীন সৃষ্টি বা অর্জন হয়নি। যা এবারও হয়নি তবে সকল বাধা বিপত্তি এবং মিথ্যার বেসাতিকে ভেদ করেই এই আইন যেমন হয়েছে তেমনি এর বাস্তবায়নও হবে। তবে সবই একদিন অতি সহজের অর্জনে পরিণত হবে যা অতিতেও হয়েছিল। এবার একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে; সংসদের বাইরের কথাও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কিন্তু রেওয়াজ অনুযায়ী শুধু সংসদের ভিতরের কথাই গুরুত্ব দেয়া হতো। তবে সরকার এবং বিরোধীদল এমনকি সাধারণ মানুষের মনে ইতিবাচক নতুন এক আস্থার জন্ম হয়েছে যে, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনের জন্য সরকার ও বিরোধী দল একযোগে কাজ করে যাচ্ছে তবে মাঝে মাঝে সংসদের বাইরের আওয়াজ, যুক্তি এবং অযুক্তিসকল আমলে নিয়ে যুগোপযোগী শক্তিশালী আইন ও কলা কানুন পাকাপোক্ত হচ্ছে। এটাই হলো সংসদ, সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর গঠনমূলক ইতিবাচক কর্মকান্ডের সকল সুফল এর প্রকাশ। এই ধারাবাহিকতার ক্রমোন্নতি অব্যাহত থাকুক এবং এই যাত্রার অব্যাহত গতি ও ধারাবাহিকতার ক্রমোন্নতি আগামীর মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পাক।
পরিশেষে মহান রাব্বুল আল-আমীন বা সৃষ্টিকর্তার নিকট কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি/ কামনা করি এই ইতিবাচক যাত্রার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। সকল নেতিবাচকতার পরাজয় ঘটুক এবং ইতিবাচক মঙ্গলজনক কল্যাণকর কর্মকান্ডের জয় হউক। সৃষ্টির কল্যাণে, সৃজনশীলতার কল্যাণে, মানব জাতির কল্যাণে একযোগে সকল কিছু এগিয়ে যাক আর নেতিবাচক সকল বিষবাষ্প বিলুপ্তির পথে নি:শেষ হউক। শিক্ষনীয় সকল দৃষ্টান্তগুলো আগামীর কল্যাণের তরে নিশ্চিত এগিয়ে যাক আর এই সুফল সকলের ঘরে ঘরে সার্বজনীনরূপে উপভোগ্য হউক। আর আমি এই জন্য আমার সৃষ্টিকর্তার স¥রণাপন্ন হয়ে হযরত দাউদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরই সুরে সকলের জন্য দ্বার উন্মোচন করিলাম। “আমি সেই পাহাড়ের সারির দিকে চোখ তুলে তাকাব; কোথা থেকে আমার সাহায্য আসবে? আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা মাবুদের কাছ থেকেই আমার সাহায্য আসবে। তিনি তোমার পা পিছলে যেতে দেবেন না; যিনি তোমাকে পাহারা দেন তিনি ঘুমে ঢুলে পড়বেন না। যিনি বনি ইসরাইলদের পাহারা দেন তিনি তো ঘুমে ঢুলে পড়েন না, ঘুমানও না। মাবুদই তোমার রক্ষাকারী; মাবুদই তোমার ছায়া, তিনি তোমার ডান পাশে রয়েছেন। দিনের বেলা সূর্য আর রাতের বেলায় চাঁদ তোমার ক্ষতি করবে না। সমস্ত বিপদ থেকে মাবুদই তোমাকে রক্ষা করবেন; তিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করবেন। তোমার প্রতিদিনের জীবনে মাবুদই তোমাকে পাহারা দেবেন, এখন থেকে চিরকাল দেবেন”। হ্যা এই পাহারায় পাহাড়িত হয়ে আগামীর কল্যাণে সকলে মিলে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশারত রইলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.