শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারালেন ব্যবসায়ী

জেলা প্রতিনিধি যশোর ॥ রেললাইনের ওপর দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এসময় খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটে আসে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই শিশুকে বাঁচাতে ছুটে যান আবদুল হাকিম (৫০)। রেললাইনের ওপর উঠে শিশুটিকে রক্ষা করতে পারলেও নিজের জীবন আর বাঁচাতে পারেননি তিনি। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর শহরের মুজিব সড়কের রেলগেটে। নিহত আবদুল হাকিম (৫০) যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে। যশোরের ‘হাঁটার সাথী’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য ছিলেন তিনি। সকালে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথেই ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আবদুল হাকিমের ঘড়ির দোকান আছে। যশোরের ‘হাঁটার সাথী’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য তিনি। প্রতিদিনের মতো ভোরে সংগঠনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি হাঁটতে বের হন। হাঁটা শেষে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শহরের রেলেগেট পার হচ্ছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক এ সময় হঠাৎ করে একটি শিশু রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে। শিশুটিকে বাঁচাতে আবদুল হাকিম রেললাইনের ওপর উঠে পড়েন। শিশুটিকে টেনে রেললাইনের বাইরে নিয়ে আসতে পারলেও তিনি পা পিছলে পড়ে যান। এতে তার মাথায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা লাগে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনেন। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যশোর রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ফাঁড়ির উপপরিদর্শক(এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় আবদুল হাকিম মারা গেছেন। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরাদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.