আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ দ্বিতীয় দিনের মতো তীব্র লড়াই চলছে রুশ সেনাবাহিনী ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এখন পর্যন্ত রুশ বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৩৭ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩১৬ জন সৈন্য। সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের। এমন অবস্থায় রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তার আদালত দেশটিতে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে পারে।
তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনের ভূখন্ডে হামলাকারী সব পক্ষকে তিনি মনে করিয়ে দিতে চান যে তার কার্যালয় এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের মধ্যে সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে কোনো কর্মকান্ডের তদন্ত করতে পারেন তারা।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের টানা এক মাস ধরে উত্তেজনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে মস্কো। এরপর থেকেই লড়াই চলছে দুপক্ষের। সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভ থেকে ২০ মাইলের মধ্যে রুশ সেনারা অবস্থান নিয়েছে। কিয়েভের বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাজধানী কিয়েভেই থাকবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া, রাষ্ট্রপ্রধানকে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে পুরো ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি আরও বলেন, শত্রুরা তাকে এক নম্বর টার্গেটে রেখেছে এবং দ্বিতীয় টার্গেট তার পরিবার। দ্য হেগ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বিভিন্ন দেশে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত এবং বিচার করে থাকে। ২০০০ সালে রাশিয়া সংস্থাটিতে যোগদানের লক্ষ্যে চুক্তিতে সই করেছিল। কিন্তু রাশিয়া কখনোই এই চুক্তি অনুমোদন করেনি। এরপর আইসিসি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় রাশিয়া। বর্তমানে রাশিয়া আইসিসির সদস্য নয় এবং আইসিসি মামলার বিরোধিতা করে আসছে দেশটি।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড