নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দিয়ে দেখুন

প্রশান্তি ডেক্স ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন আপনাদের। নির্বাচনকালীয় সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার দিয়ে দেখুন। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব। আমাদের আওয়ামী লীগের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন, বিএনপি যদি ভোটে না যায়, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলতে থাকে তারা অতল জলে ডুবে যাবে। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারে এত ভয় কেন? এত ভয় কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের? নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার দিয়ে দেখুন।’ নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যদি এই সরকারকে সরাতে পারি এবং ভবিষ্যতে যদি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সরকার আবার আসতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা কৃষির সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হব। কিন্তু এটা কি এমনি হবে? এই আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে কি হবে? তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হবে।
আর কোন কথা নয় বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘একটাই কথা যে, এখন সরে যাও। অনেক হয়েছে। অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করেছেন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে এই সরকারকে সরাতে হবে। তাই মানে মানে সরে যান (সরকার)। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করেন।’ টিসিবির ট্রাকে লাইন প্রতিদিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে প্রত্যেকটি নিম্নবিত্ত, নিম্নআয়ের মানুষ ও মধ্য আয়ের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। একজন মহিলা, বোরকা পরা ছিলেন- মুখে মাস্ক ছিল, তিনি বলছেন- আমি কোনোদিন এই লাইনে এসে দাঁড়াইনি। কিন্তু এখন আমাকে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তারপরও পাই না। তিনি বলেন, ওখানে সবাই কিছু কিছু দালালদের দাঁড় করিয়ে রাখে, তারা কিনে নিয়ে যায়- কালোবাজারে বিক্রি করে।
কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.