প্রশান্তি ডেক্স ॥ অবিলম্বে পণ্যমূল্য কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা, দেশে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটি। গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে দেশে ভোগ্য পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, যে কোনো অজুহাতে দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তেল, চাল, ছোলা, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ দেশে থাকার পরেও দাম বেড়েই চলেছে। টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের লাইন। একটু কম দামে পণ্য কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষ খালি হাতে ফিরছে। তারওপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে ভোগ্য পণ্যের দাম আরও কয়েক দফা বেড়েছে। অথচ এ যুদ্ধের প্রভাব দেশে উৎপাদিত পণ্যে বা বেশিরভাগ ভোগপণ্যে পড়ার কথা নয়।
মানববন্ধনে বলা হয়, কয়েকটি সিন্ডিকেট কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে গরিব মেহনতি মানুষের পকেট কাটছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। খরচ কমিয়েও প্রয়োজনী ভোগ্যপণ্য কিনতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দাম বৃদ্ধি এখন যে পর্যায়ে আছে তা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এরপর মধ্যবিত্তের পক্ষেও আর প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কেনা কঠিন হবে। শুধু উচ্চবিত্তরা কিনে খেতে পারবে। এ অবস্থায় সিন্ডিকেটের লাগাম না টানলে আসন্ন রমজানে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। বক্তারা বলেন, শ্রমজীবী-মেহনতী মানুষের জীবন ধারণের ন্যূনতম যোগান দিতে সারা বছরের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তা না হলে বছরের একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মানুষকে জিম্মি করবে। পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থাই পারে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে। ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফেরে সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনসুর মাসুদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোক্তার আহম্মদ, শ্রমিক নেতা আবদুল খালেক, যুব মৈত্রীর জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়া, ছাত্র-মৈত্রীর জেলার আহ্বায়ক আলাউদ্দিন প্রমুখ।