এক ব্যক্তির জন্মশতবার্ষিকীকে সরকার প্রাধান্য দিয়েছে’

প্রশান্তি ডেক্স ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধ নয়, এক ব্যক্তির জন্মশতবার্ষিকীকে সরকার প্রাধান্য দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এখানে অবস্থা দৃষ্টিতে তাই মনে হয়েছে। সরকার কতগুলো প্রোগ্রামে স্বাধীনতা যুদ্ধ-মুক্তিযুদ্ধকে সামনে নিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রবাসী সরকার, এমএজি ওসমানির নাম কয়বার উচ্চারণ করা হয়েছে। সেক্টর কমান্ডারদের নাম কয়বার করা হয়েছে। তাজউদ্দিন আহমেদের নাম কয়বার উচ্চারণ করা হয়েছে— আপনারা নিজেরাই তো বুঝবেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ কোথায় গেল? এখানে তো একজন ব্যক্তির ব্যাপারটা এসে যাচ্ছে সামনে।’ গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা বিতর্ক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি হালকা করে বলি আওয়ামী লীগের একটা কেমিস্ট্রি আছে যেটাকে বলা হয়— রসায়ন। রসায়নটা হচ্ছে— ফার্সিদের বলা হয় আনচু ডিজাবেস্ট মানে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। এক মেগো অদ্বিতীয়া। এটাই সমস্যা তাদের।’
বাংলাদেশ চতুর্দিক থেকে জাতিগতভাবে খুব বিপদজনক অবস্থায় পড়ে আছে— উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিল একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা, সেটাই আজ সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সারা বিশ্বে আমরা চিহ্নিত হয়েছি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটা দেশ হিসেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চরমভাবে একটা চক্রান্ত চলছে। এটাকে বলা হয় বার্জিং মানে রাজনীতিকে নির্মূল করে দেওয়া, বিএনপিকে নির্মূল করে দেওয়ার চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে সরকার।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে নেত্রী একজন গৃহবধূ ছিলেন। জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহের পর তিনি যখন সোয়াত জাহাজের দিকে এগুচ্ছিলেন তখন পাকিস্তানি কমান্ডার আমাদের অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার সোহরাব হোসেন সেনাবাহিনীর সৈনিকদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা করছিলেন, সেই সময় খালেদা জিয়া প্রথম বলেছিলেন, তোমরা অস্ত্র সমর্পণ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না জিয়াউর রহমান ফিরে আসেন। এই দিয়ে তার শুরু।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা কেউ যদি থাকে তিনি হচ্ছেন খালেদা জিয়া। তাকে আজ মিথ্যা মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৪০ বছর ধরে যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করলেন তাকে আজ এই সরকার আটক করে রেখেছে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না তারা।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.