পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হবে; আইজিপি

প্রশান্তি ডেক্স ॥ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে ক্রিমিনালের স্থান নেই। আমরা নিজেরা ক্রাইম করবো না। সিনিয়র, জুনিয়র কোনও সহকর্মীকে ক্রাইম করতেও দেবো না। কোনও পুলিশ সদস্য অপরাধে যুক্ত থাকলে তাকে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হবে।’ গত বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে যশোর পুলিশ লাইন্সে খুলনা রেঞ্জের সব পুলিশ ইউনিটের বিভিন্ন পদবির অফিসার ও ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মানুষের সঙ্গে অমানবিক ও অপেশাদার আচরণ না করার জন্যও পুলিশ সদস্যদের আহ্বান জানান আইজিপি।
পুলিশের আধুনিকায়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশে সর্বাধুনিক টেকটিক্যাল বেল্ট, বডি ওর্ন ক্যামেরা ইত্যাদি যুক্ত হয়েছে। আগামীতে আধুনিকায়েনে আরও যা যা করা প্রয়োজন সব করা হবে। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পুলিশে নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কারের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর পুলিশের কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান নিয়োগবিধি সংস্কার হয়েছে। ইতোমধ্যে কনস্টেবল পদে জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দি বেস্ট’ প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।
করোনাকালে পুলিশের অবদানের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা মোকাবিলায় পুলিশ এক মুহূর্তের জন্যও পিছপা হয়নি। প্রথমদিকে পুলিশের সুরক্ষা সামগ্রী ছিল না, পিপিই ছিল না, তবু জনগণের সেবায় প্রথম দিন থেকেই আত্মনিয়োগ করেছে। করোনাকালে দেশমাতৃকার সেবায় আমাদের ১০৬ জন সহকর্মী আত্মোৎসর্গ করেছেন। ২৭ হাজার পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষ পুলিশকে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের এ আস্থা ধরে রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ। সবাই মিলে পুলিশ বাহিনীর সম্মান বাড়াতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সম্মান বাড়লে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি পুলিশ সদস্যের সম্মান বাড়বে। আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মুক্তিযুদ্ধ ও করোনাকালে দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। আইজিপি যশোর পুলিশ হাসপাতাল, ইন্সপেক্টর কোয়ার্টার, চৌগাছা, যশোর এবং পুলিশ অফিসার্স মেস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। যশোর জেলা পুলিশের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.