শুল্কমুক্ত বাণিজ্য প্রসারে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বা আ॥ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ২০০৪ সালে সই হওয়া বিনাশুল্কে বাণিজ্য চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য বিমসটেক ভুক্তদেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার (৩০ মার্চ) শ্রীলংকার কলোম্বোতে অনুষ্ঠিত ৫ম বিমসটেক সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুল্কমুক্ত বাণিজ্যিক চুক্তি, দেশগুলোর মধ্যে বহুমাত্রিক যোগাযোগ এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি চুক্তি বাস্তবায়নে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বাণিজ্য নয়, বিদ্যুৎ আদান-প্রদানে ২০১৮ সালে যে চুক্তি হয়েছে সেটাও বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে যে মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে- সেটিও বাস্তবায়ন করতে হবে।’ 

জঙ্গিবাদ ও সাধারণ অপরাধ দমনেও এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাজায় রাখতে বিসমটেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফোরামের অধীনে তথ্য অদান-প্রদান করে যাওয়ারও তাগিদ দেন তিনি।

করোনা-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় বিমসটেক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ করোনার মধ্যেও ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাই চরম ও অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

বিমসটেক কনভেনশনে ফৌজদারি বিষয়গুলোর পারস্পরিক আইনি সহায়তা সম্পর্কিত সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী বা মনোনীতরা স্বাক্ষর করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড মিলিয়ে একটি সাত-জাতীয় আঞ্চলিক সংস্থা।

সৌজন্যেঃ ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published.