কৃষকের সারের দাবিতে বিএনপি করেছে গুলি, আর আওয়ামী লীগ দিচ্ছে ভর্তুকি

বা আ॥ বিএনপি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক গংদের সার সিন্ডিকেটের কারণে, সার কিনতে পারতো না গ্রামের কৃষকরা। একারণে ফসল উৎপাদন কমে যায় দেশে। তিন থেকে চার কোটি প্রান্তিক কৃষক পরিবারের দু-বেলা ভাত জোটানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। সেই সুযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা দাদন ব্যবসা জমিয়ে তুরে সর্বশান্ত করে ফেলে কৃষকদের। এমনকি ফেন্সুগঞ্জ সার কারখানা থেকেও লাখ লাখ বস্তার সার লোপাট করে বিএনপির দৃর্বৃত্তরা। সেই সার কেলেঙ্কারির টাকার ভাগ নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুন হয় এক ছাত্রদল নেতা।

সারের অভাবে চাষাবাদ করতে না পেরে- সাতক্ষীরা, নড়াইল, মেহেরপুর, খুলনা, রংপুর, রাজশাহীতে কাফনের কাপড় নিয়ে সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। কিন্তু সাধারণ কৃষকদের ওপর দলীয় সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায় বিএনপি সরকার। এমনকি কুড়িগ্রাম, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। সারের অভাবে বোরো-ইরি চাষাবাদ ব্যাহত হয় বাংলাদেশে।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর- প্রথমেই কৃষকদের ভাগ্যউন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়। ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে ৮২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রণোদণা দিয়েছে সরকার, যার মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হয়েছেন ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩ জন কৃষক। কৃষকদের কাছে সহনীয় মূল্যে সার ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করতে- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২১ সালেই ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করা হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষককে।

কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক-হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১ কোটি ১০ লাখের বেশি কৃষক এখন ব্যাংকের সেবা নিচ্ছেন। কৃষিকাজের জন্য কৃষকরা এখন পাচ্ছেন বিনাসুদে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা। ফলে ভাগ্য বদলাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদের। শিক্ষায় আলোয় আলোকিত হচ্ছেন তাদের পরবর্তীপ্রজন্ম।

সার-বীজ-বিদ্যুতের জন্য আর আন্দোলন করতে হয় না কৃষকদের। বদলে যাচ্ছে তাদের জীবন, ফলে বদলে গেছে বাংলাদেশ। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে চতুর্থ এবং সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থান আমাদের। গ্রামের দরিদ্র মানুষটিও আজ খেয়ে-পরে ভালো আছে। এমনকি করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের সঙ্গে মাঠে করেছে আওয়ামী লীগের সর্বোস্তরের নেতাকর্মীরা। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য দেওয়া হয়েছে বিশেষ অনুদান ও প্রণোদনা।

কৃষকরা হাসলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই কৃষকদের দিন বদলের জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে এখন আরো স্বানির্ভর হওয়ার সময় এসেছে। সরকারি সুবিধার সঠিক ব্যবহার করুন, জয় বাংলা বলে আগে বাড়ুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.