শরীরে আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রীর

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্প শরীরে আঘাতের প্রভাবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের মেডিক্যাল পরীক্ষক কর্মকর্তা। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় ৭৩ বছরের ইভানার মৃত্যু হয়।

মার্কিন মিডিয়ার খবর অনুযায়ী নিউ ইয়র্কে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ায় জন্ম নেওয়া ইভানা ট্রাম্পের সঙ্গে ১৯৭৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিয়ে হয়। ১৫ বছর পর ১৯৯২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি চমৎকার, সুন্দর এবং অসাধারণ নারী ছিলেন, যিনি একটি মহান ও অনুপ্রেরণামূলক জীবন কাটিয়েছেন’। তাদের একসঙ্গে তিন সন্তান রয়েছে। তারা হলেন ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা এবং এরিক ট্রাম্প।

১৯৮০ ও ১৯৯০ দশকে নিউ ইয়র্কে উল্লেখযোগ্য পাবলিক ফিগার ছিলেন ডোনাল্ড ও ইভানা ট্রাম্প। তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে ব্যাপক জনআগ্রহ তৈরি হয়। বিচ্ছেদের পর ইভানা ট্রাম্প তার নিজস্ব ধরণ অনুযায়ী সৌন্দর্য্য পণ্য, পোশাক এবং অলংকার ব্যবসা চালু করেন। সন্তানদের বড় করতে তাকে ঋণ নিতে হয় বলে ২০১৭ সালে এক স্মৃতিকথায় লেখেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, তাদের শিক্ষা, কার্যক্রম, ভ্রমণ, শিশু যত্ন এবং ভাড়া পরিশোধে তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

ওই বইয়ে ইভানা জানান বিচ্ছেদের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের উন্নতি হয়। তিনি জানান সপ্তাহে একবার করে কথা বলতেন তারা।

ট্রাম্প পরিবারের এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করে লেখা হয়, একজন ব্যবসায়িক শক্তি, বিশ্ব মানের অ্যাথলেট, উজ্জ্বল সৌন্দর্য্যের অধিকারী এবং যত্নশীল মা ও বন্ধু ছিলেন তিনি। বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘ইভানা ট্রাম্প একজন লড়াকু। কমিউনিজম ছেড়ে তিনি এই দেশ আকড়ে ধরেন। তিনি তার সন্তানদের দৃঢ়তা এবং কঠোরতা, সহানুভূতি এবং সংকল্প শিখিয়েছেন’।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন ইভানার দ্বিতীয় স্বামী। তার প্রথম স্বামী ছিলেন অস্ট্রিয়ার স্কি প্রশিক্ষক ও বন্ধু আলফ্রেড উইঙ্কমায়ার। বলা হয়ে থাকে অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব পেতে তাকে বিয়ে করেন ইভানা। ওই বিয়ের কারণে চেকোস্লোভাকিয়া ছাড়ার সুযোগ পান তিনি। কমিউনিস্ট শাসিত নিজের দেশ পক্ষত্যাগ ছাড়াই ত্যাগের সুযোগ করে দেয় ওই বিয়ে।

সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published.