কসবা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে তিনটি কলেজ

ভজন শংকর আচার্য্য কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা তিনটি কলেজ চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। কলেজ তিনটি হল কুটি মিয়া আব্দুল্লাহ ওয়াজেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজ, কসবা টি আলী ডিগ্রী কলেজ ও সৈয়দাবাদ সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়। কলেজ তিনটিতে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুটিতে উপস্থিত মিয়া আব্দুল্লাহ ওয়াজেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রায় এক যুগ ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ২০১১ সালে প্রথম বার, পরে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আরো দুবার অধ্যক্ষ নিয়োগের চেষ্টা হলেও নিয়োগ হয়নি অধ্যক্ষ।

বর্তমানে অ্যাডহক কমিটির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চালাচ্ছেন প্রায় চার বছর ধরে। কলেজটিতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ইংরেজির প্রভাষক ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক অফিস সহায়ক তিনজন ও আয়ার পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতান কবির আহাম্মদ খান জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এইদিকে উপজেলা প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কসবা টি আলী ডিগ্রী কলেজটি চার বছর ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। জানা গেছে অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেনের বিদায়ের পর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি উৎপাদক কে দায়িত্ব না দিয়ে কলেজের জ্যৈষ্ঠ শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেয়। এতে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয় এবং এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা গড়ায়। এক পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের আপিল ডিভিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপাধ্যাক্ষ বহাল রাখা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই আবুল কালাম আজাদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, একদিকে করোনা অন্য দিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে কার্যক্রম চালানো যায়নি। বর্তমানে কলেজের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা হয়েছে। কলেজটিতে পাঁচটি পথ শূন্য রয়েছে। শূন্য পথগুলো নিয়োগের ব্যাপারে প্রচেষ্টা চলছে। অন্যদিকে সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয় ডিগ্রী কলেজও সাড়ে চার বছর ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। সাড়ে চার বছর আগে অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন অবসরে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন উপাধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া। তিনিও চার বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে অন্য একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে অবসরে গেছেন। তবে কলেজটির সরকারি করন হওয়ায় অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে আছে বলে জানা যায়। এছাড়া কলেজটিতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ছাড়াও অফিস সহায়ক পদে চারটি শূন্যপদ রয়েছে।

তিন  কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম।গতকাল ওই তিনটি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধিমোতাবেক অধ্যক্ষ নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.