ষঢ়যন্ত্র এবং সম্বৃদ্ধি

ষঢ়যন্ত্র ছিল; আছে এবং থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি সম্বৃদ্ধিও আমাদের দ্বারা ষঢ়যন্ত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গতিময়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে যুগের পরিবর্তনে এবং চাহিদার যোগানে এই সম্বৃদ্ধি বর্তমানের জন্য যথেষ্ট নয়। চারিদিকের রাহাজানি এবং লোটপাটের নৈরাজ্যে সাধারণ এবং অতি সাধারণ এখন দিশেহারা। শুধুযে বাংলাদেশে তা কিন্ত নয় বরং সমগ্র পৃথিবীতেই আজ ত্রাহী ত্রাহী অবস্থার করুন চিত্র ফুটে উঠেছে। তবে এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এতবেশী হারাপ নয় বরং শয্যের চেয়ে একটি বেশী বৈকি। এই ষঢ়যন্ত্র ছিল স্বাধীনতা পূর্বে এবং এর রেশ স্বাধীনতার পর মরণ কামড় দিয়ে স্বাধীনতার স্থপতিকে স্বপরিবারে হত্যা করে আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করেছিল এবং বন্ধি করেছিল উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে। কিন্তু গুটিকতেক হায়েনার থাবায় সেদিন জাতি হারিয়েছিল বাংলাদেশের অগ্রগতি, স্বপ্ন, দিশা এবং স্বপ্নদ্রষ্টা, শ্রষ্টা, জাতির বিবেক, বিশ্বব্রক্ষান্ডের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাাঙালী, জাতির পিতা, জুলিওকুড়ি উপাধিপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে। কিন্তু তাতে কি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গতি হারিয়েছে! না হারায়নি তবে এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রকৃশ শত্রুকে চিহ্নিত করা গেছে। জাতি জানতে পেরেছে কারা কারা বাংলা এবং বাঙালীর শত্রু; কারা কারা চায়নি বাংলাদেশের জন্ম হউক, কারা কারা চায়নি বাংলা এবং বাঙালীর উন্নতি হউক।
তবে জাতির ভাগ্যাকাশে যে কালো মেঘ উদিত হয়েছিল সেই কালো মেঘ দূরীকরণে ভুমিকা রেখেছে সেই বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া মেয়ে; যোগ্য উত্তরসূরী এবং বাংলা ও বাঙালীর কান্ডারী বিশ্ব মানবতার মা, উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের কারীঘর, পদ্মাসেতুর বাস্তব দৃশ্যায়নের রূপকার এবং বাংগালী জাতির আস্থা ও ভরসাস্থল জননেত্রী শেখ হাসিনা। কত ঘাত প্রতিঘাত এবং জীবন নাশের হুমকি ও আক্রমনের অতলগহবর থেকে বেঁচে ফিরে আসা খোদার নিয়ামত হিসেবে বাংলা ও বাংগালীর সমান্তরাল বিবেকপ্রসুত কাজের গতিশীলতা আনয়নকারী হিসেবে নিরলসভাবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি পেরেছেন এবং করে দেখিয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে জাতি এগিয়েছে এবং এগুবে। এতসবকিছুর পরও দু:খভারাক্রান্ত হৃদয় উৎসরিত কথা বলতে বা লিখতে হয় যে, এখনো সেই পূর্বের শত্রুরা থেমে নেই; বরং নতুন নতুন ছকে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। জাতিকে স্তব্ধ করে দিতে এমনকি সাধারণ জনগণকে উষ্কে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে ফায়দা লুটার কাজে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। তাদের বক্তব্য, হুংকার, হুমকি ও ধমকি এমনকি দেশী বিদেশী ষঢ়যন্ত্র একটার পর একটা অতিক্রান্ত হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে সরকারের দুরদর্শীতা এবং সুদুর প্রসারী চিন্তা ও পরিকল্পনার সমন্বয় ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে। সবই আজ প্রকাশিত ও উন্মুক্ত এবং দিবালোকের মত স্পষ্ট।
তবে বিশ্ব ক্ষমতা ও লোভাতুর শ্রেণীর ধ্বংশন মোকাবেলার সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় মনযোগের সহিত যুক্ত হয়েছে দেশীয় চক্রান্তকারীদের নতুন নতুন চক্রান্ত। তাই জাতি হিসেবে সবাইকেই সতর্ক থাকবে হবে। কারণ সিদুরে মেঘ দেখতে ভয় আছে। অতীতেও এই চক্রান্তকারীরা সফল না হউক জাতিকে পিছিয়ে দিতে পেরেছিল। কিন্তু আমাদের সকলের সতর্কতা এবং দুরদৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ব্যবহার এবং সরকারের সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশের জোয়ারে ভেসে যাবে ঐ চক্রান্তকারীদের সমূহ চক্রান্ত। এই কঠিন সময়ে সরকারের সঙ্গে থেকেও তারা সরকারের রেমিটেন্স প্রবাহে বাধাস্বরূপ কাজ করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি। এইসময় রেমিটেন্স প্রয়োজন; তাই বিডার কাজ হলো এই রেমিটেন্স প্রবাহে সহযোগীতা করা কিন্তু তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে লক্ষ লক্ষ ডলার বঞ্চিত করেছে আমাদের এই সময়ের প্রয়োজনীয়তাকে। তাদের ছল-ছাতুরীপনা হলো পরিকল্পনা লাগবে, আসুন আমরা দেখি তারপর অনুমতি দেয়া যায় কিনা দেখব এবং এইসব করেই আমাদের কোম্পানীর ৫০লক্ষ্য টাকার অর্ডার বাতিলে সহায়তা করেছিল বিডা। কোম্পানীর নতুন কর্মী; যার মাধ্যমেই ঐ ওয়াডারটা পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিডা ঐ কর্মীকে কর্মানুমতি না দিয়েই সর্বনাশ করেছিল। বর্তমানে আরো জটিল করে তুলেছে নতুন কর্মী নিয়োগ এবং নতুন কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে; তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ঐ বাধা দূর করে সহজভাবে আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহে গতি ফিরিয়ে আনুন; এইক্ষেত্রে আপনি একমাত্র সমাধানকারী। আইটি ব্যবসা আজকের অবস্থানে শুধুই আপনার জন্য; তাই আপনাকেই বলছি সমস্যার কথা। বিডা নতুন ইনভেষ্টর নিয়ে এসেছে এমন সাক্ষ্য খুবই কম কিন্তু আমি আপনার শাসনামলে মোট ১৬জন উদ্যোক্তা বা ইনভেষ্টর নিয়ে এসেছি যারা এই দেশে লক্ষ্যকোটি ডলার নিয়ে এসেছে এবং কমপক্ষে ৩০০০লোকের কর্মসংস্থান করেছে। এটা আমার গর্ব নয় বরং দেশের/ দলের প্রতি দায়বদ্ধতা। দল ক্ষমতায় রেখে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখাই মূল লক্ষ্য। তবে যেভাবে আমার কাজে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করছে তা খুবই দু:খের এবং দেশের জন্য অশনীসংকেতও বটে।
নিরাপত্তা ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে এন এস আই যে জটিলতা সৃষ্টি করছে তার নিরসনকল্পে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা ভুল এবং মনগড়া তথ্যদিয়ে আপত্তি দিচ্ছে অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে দু ইবা তিন বছর কোন রিপোর্ট না দিয়ে ব্যবসায় এবং এনজিও (শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের) সেবকদেরকে হয়রানী এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতার সৃষ্টি করছে। যার জন্য এন এস আই নয় বরং দুর্নাম বা বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে আমার দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে। তাই এই ক্ষেত্রেও আশু সমাধান কামনা করছি। রির্পোট যেন সঠিক হয় এবং স্বল্প সময়ে দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তী এবং প্রতিষ্ঠানের সেবার মান ও ধারাবাহিকতায় সহযোগীতা পালনে ভূমিকা রাখে বা থাকে। আমার এই বাস্তব অভিজ্ঞতা ও জটিলতাগুলো প্রয়োজনে আরো বিস্তারিত রিপোর্ট আকারেও দিয়ে সহযোগীতা করতে চাই। আমি আমার দেশ, সরকার ও দলকে ভালবাসি এবং এই দেশ সেবায় আমার দল ও সরকারকে চলমান ধারাবাহিকতায় অব্যাহত রাখতে ও দেখতে চাই। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই করার নিমিত্তে কাজ করে যেতে চাই। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার উদ্ধে থেকেই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। কোন প্রনোদনা গ্রহন না করেই ব্যবসা এবং সফলতা এবং ব্যবসায়ীদেরকে সহযোগীতা করে যেতে চাই। সরকার এর কাছ থেকে কোন পাওয়ার আশায় নয় বরং দেয়ার আশায়; তবে সরকারের সহায়তা বর্তমানে আশু প্রয়োজন বা অত্যাসন্ন।
পরিশেষে বলতে চাই ষঢ়যন্ত্র ছিল এবং আছে এমনকি থাকবে তবে এই বিশ্ব নৈরাজ্যে যেন আমাদের দেশ ও সরকারকে সতেজ এবং সবল রাখ যাই সেইদিকে আমাদের সকলের দৃষ্টি দেয়া এখন সময়ের দাবি। দেশী ষঢ়যন্ত্র মোকাবেলায় জনগণ স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন করলে আর বিদেশী ষঢ়যন্ত্র মোকাবেলায় সরকার স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন করলে আমাদেরকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। যুগের চাহিদার পূর্বেই ঐ চাহিদাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনের এবং সময়ের আগেই সবকিছু ঠিক করে রাখতে হবে। বংলাদেশ স্বাধীন এবং বাংলাদেশ নামকরণ আর সাহায্য ও সহযোগীতা পাওয়া ও নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ঠিক করে রেখেছিলেন সেই ১৯৬২ সালে যা পরবর্তীতে সময়ে সময়ে বাস্তবে রূপলাভ করে। শেষ অর্জন ও সফলতা হলো ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা। আজও সেই অগ্রীম চিন্তা ও পরিকল্পনা নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে যেমনি রূপে বঙ্গবন্ধু করে দেখিয়ে গেছেন। তাঁর দেখানো পথেই আমাদের মুক্তি, শক্তি এবং স্থিতিশীলতা আর নিশ্চয়তা এমনকি উন্নয়নে স্বপ্নের সোনার বাংলা নিহিত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.