শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত: স্পিকার

প্রশান্তি ডেক্স॥ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত। তিনি সারাবিশ্বে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং লিঙ্গ সমতাকরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার নিরলস পরিশ্রম এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তাধারা, সংবেদনশীলতা সকল কিছুর মধ্যে দিয়েই আজকে বাংলাদেশের নারীরা দৃশ্যমানভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ১ হাজার জন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনস্থ উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (iDEA) প্রকল্প আয়োজিত “স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান ২০২২”- এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব  এন এম জিয়াউল আলম, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, উই’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা বক্তব্য প্রদান করেন। আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বস্তরের নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য নারী বান্ধব ই-কমার্স প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। ফলে অসংখ্য নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ এই ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীরা ঘরে বসেই ই-কমার্সে সংযুক্ত হবার সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি বলেন,  শিল্পায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ই-কমার্সের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত এই অনুদান কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের নারীরা অদম্য। আমাদের নারীরা সহযোগিতা পেলে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে সক্ষম।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নে নারীর আর্থিক সক্ষমতার গুরুত্বকে বঙ্গবন্ধু তার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আর তা বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি প্রধান অতিথির পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যেক সংসদীয় আসনে ২ জন নারী উদ্যোক্তাকেও অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।

স্পিকার বলেন, কোভিড-১৯ হঠাৎ করেই আমাদের জীবনযাত্রায় আঘাত করেছিল। এর প্রভাব ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের ওপরই বেশি পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রণোদনাও প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৃণমূলের নারীদের অর্থনৈতিক  ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই এসডিজিসহ জাতীয় বৃহত্তর লক্ষ্যগুলো অর্জন করা সম্ভব। এদেশের স্মার্ট নারীরা ই-কমার্সের মাধ্যমে আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় স্পিকার ১ হাজার জন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তার প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ কোটি টাকার অনুদান ও সম্মাননা প্রদান করেন।

তিনি এই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই), আনন্দমেলা, উইমেন এন্ট্রপ্রিনিউরস্ অব বাংলাদেশ (ওয়েব), এসএমই ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এবং এটুআই প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.