কসবা থানার ওসি মহিউদ্দিনের পিপিএম এর  সাফল্য; তিন মাসে ২০ মন গাজাসহ বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার ॥  ১৪৫ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার; কসবা পুলিশ কতৃক কমেছে হয়রানি, বেড়েছে সেবা

মোঃ আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ,কসবা ॥ চলো যাই যোদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কসবা থানার নবাগত অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম কসবা থানায় যোগদানের তিনমাসের মাথায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশসুপারের নিদের্শে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সাবির্ক তত্তাবধানে  ভারত সীমান্তবর্তী এই এলাকায় কসবা থানা পুলিশের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে প্রায়  সকল প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড।  দালালমুক্ত এই  থানায় সেবা প্রত্যাশীরা  এসে  অফিসার ইনর্চাজ ্এর  সাথে কথা বলে সকল সেবা নিচ্ছে বুঝে।  পুলিশ কতৃক কমেছে হয়রানি, বেড়েছে সেবা তাই  কসবা থানা এলাকার  জনসাধরনের মুখে- মুখে ”বাংলাদেশ পুলিশের” প্রশংসা। সাদা আলাপি ও পরিচ্ছন্ন এই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বশীল কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের  কাছে  পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকটাই উজ্জ্বল হয়েছে। পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় কসবা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০ মন গাজা, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। ১৪৫ বোতল বিয়ার, ১৫৪ বোতল স্কফ, ৭৭৮৫ পিস ইয়াবা ও ৯৪ বোতল ফেন্সিডিল, বিদেশী মদ ৮০ কেজি ও হুইসকি ৭৩ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলার ১৪৫ জন আসমীকে গ্রেফতার করেন। মাদক উদ্ধার কৃত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে, বায়েক,কাইমপুর,কুটি,বিনাউটি ও গোপীনাথপুর এলাকা থেকে এই মাদক জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে মাদক বিরোধি অভিযান ও মাদক ব্যবসায়িদের  গ্রেফতার করার পরও  যেন থামছেনা মাদক ব্যবসা বং মাদক প্রচারের  নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক ব্যবসায়ীদের নিত্য নতুন  কৌশল দেখে হতবাক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোকজনরা।

কসবা থানা ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন- প্রতিদিনেই থানা এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে  বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে। এর মধ্যে গাজ ও ইয়াবা সবচাইতে বেশী। তিনি  বলেন- আইন শৃঙ্খলা  বাহিনীর চোখ ফাকি দিতে মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে ।

তিতসি ২৪. টিভির  এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেনÑ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,মাননীয় আইনমন্ত্রী ও মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় মাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিয়েছেন সেই মোতাবেক আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছি। মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কৌশলে মাদক প্রচারসহ  পরিবহন করলেও আমরা এইসব কৌশলের পাল্লা দিয়ে এইসব  মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছি এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশা-পাশি সমাজের সচেতন নাগরীকগন ,সুশীল সমাজ,জনপ্রতিনিধিসহ সবাই এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সহযোগীতা মাদক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব,। ওসি মহিউদ্দিন আরো বলেন- দেশের ভালো-মন্দের দায়ভার আমাদের সকলের উপর বর্তায়। এই সত্য লালন করেই তিনি সেবামূলক দায়িত্ব পালন করছেন। দায় এবং দায়িত্বের মাধ্যমে  তিনি প্রমান করতে চান ”পুলিশ জনগনের বন্ধু”  এটি কেবল স্লোগান নয় । আমরা সবায় মিলে মাদক ও সন্ত্রাস্ত্রের বিরুদ্ধে পুলিশ জনতা ভাই ভাই হিসাবে কাজ করি।  অপর দিকে সমাজের সচেতন নাগরীকরা বলছেন-কসবা থানা ওসি মহিউদ্দিন আশার পর  কসবা কমছেস মাদক ব্যবসা,আতস্কে চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়ে অনেকেই গাডাকাও দিয়েছে। সবশেষে ওসি বলেন-মাদকের বিরোদ্ধে অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.