জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে জয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতিফলন

বাআ॥ বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে ৪৭ সদস্যের এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হলো। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদানের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাউন্সিলের দায়িত্ব পালনে আমাদের দক্ষতারই একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ।

বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ (একশত ষাট) ভোট পেয়ে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি । এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় সাধারণ পরিষদ হলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

নির্বাচনে জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, এবারের নির্বাচন ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬টি দেশ এ অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ৪ চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জাতিসংঘ বিশেষ করে মানবাধিকার কাউন্সিলে আমাদের গঠনমূলক ও নীতিগত উপস্থিতির ফলে আজ আমরা এত বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করতে পেরেছি।

নিউইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, নির্বাচনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। বিপুল ভোটে বাংলাদেশকে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় জাতিসংঘের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে সবার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন মালদ্বীপ (১৫৪ ভোট), ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) এবং কিরঘিজিস্থান (১২৬ ভোট)।

নির্বাচনের পর সদস্য দেশগুলোর বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শাসন ব্যবস্থা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তির জন্য তার সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।

সবার প্রত্যাশা, মানবাধিকার কাউন্সিসলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে উদীয়মান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের আদর্শ বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.