কি বলতে কি বলে…রে…

পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায় এই অবস্থায় এখন আম জনতার। কি বলা উচিত আর কখন কি বলতে হবে তার কোন কূল কিনারা খুজে পাচ্ছেন না আমাদের সম্মানীতজনরা। কোথায় কি বলতে হবে আর কিইবা বলে বসছেন তার হিসাব মিলানো এখন খুবই কঠিন। একই মতাদর্শের একই কর্মকান্ডকে নিয়ে অগ্রসরমানরা একই অনুষ্ঠানে দুই ধরনের বক্তব্য রাখছেন এবং কি বলছেন তা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না। এই মতিভ্রম অবস্থার সৃষ্টি কিভাবে হলো অথবা ঐ সম্মানীতরা কি এখন অসুস্থ্য অথবা করোনার ছোবলে স্মৃতিশক্তির বিলুপ্তির বহি:প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। নাকি জেনে শুনেই এই ধরণের আচরণ করছেন যাতে মানুষজন বিভ্রান্তিতে পড়ে আরো দিশাহীন গতিতে ছুটে অথবা বিরক্ত হয়ে স্ব দলবলে ঐ সম্মানীতদের আক্রমন করে বসে। তবে ঐ আক্রমনে কি কোন নব্য ফায়দার ব্যবস্থা আছে? আজ আমাদের সমাজপতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনায়রতরা এমনকি এর বিরোধীরাও যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। কোথায় যেন একটি শুন্যতা বিরাজ করছে। তবে সবই যেন এখন এলোমেলো ভাবাপন্ন মনে হচ্ছে।
এই বৈশ্বিক উষ্ণতাই মানুষজন এখন প্রতিযোগীতায় মগ্ন রয়েছে। যে যার অবস্থান থেকে ঐ প্রতিযোগীতা বৃদ্ধিকল্পে সকল ইতি এবং নেতিবাচক হিসেব নিকেষসহ যাবতীয় পরিকল্পনা আটছে। যাই হউক মানুষ কিন্তু এখন মানুষের আচরণের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে বদ্ধ পরিকর নয় বরং মানুষ নতুন আবরণে নতুন বিশ্ব মঞ্চায়নের তাগিদে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে ব্যতিব্যস্ত। তবে সকল কিছুর উদ্ধে উঠে সৃষ্টির প্রয়োজনে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কল্যাণকর কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিয়োজিতরাই আজ দিশেহারা হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করছে। কিই-বা লিখব অথবা বলব? তবে যা দেখছি ও শুনছি এবং উপলব্দি করছি তারই আলোকে লিখাগুলি পংক্তিমালা হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ের সারবত্তা বা হাইলাইটস্ আকারে ভাবার জন্য এমনকি দিকনিদের্শনা পাওয়ার আকাঙ্খায় মাত্র উপস্থাপন করছি এর বেশী কিছু নয়। যারা আজ চুরি করছেন তারা আরো চুরি করার প্রতিযোগীতায় মগ্ন এবং যারা মিথ্যা বলছেন তারা আরো মিথ্যা বলায় মগ্ন। যারা যারা ক্ষমতার লোভে লোভী তারা সকলেই ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগীতায় মত্ত। আর যারা হিংসা -বিদ্দেষ ছড়াচ্ছেন তারা আরো ছড়ানোর প্রতিযোগীতায় প্রতিযোগীতারত। যারা ক্ষমতায় আছেন তারা আরো বেশী বেশী ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থায় প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। যারা মিথ্যা বলছেন তারা আরো বেশী মিথ্যা বলতে প্রতিযোগীতায় উম্মত্ত্ব। যারা ভুল ধারনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন এবং সঠিক ধারনা থেকে দূরে সরে আছেন তারা আরো বেশী ভুল ধারনায় প্রতিযোগীতার ঘোষণা দিয়ে নেমেছেন। যারা অন্যের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত তারা আরো বেশী বেশী ক্ষতি সাধনে মনযোগী হয়ে প্রতিযোগী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। মোট কথা যে যার মতকরে এগুচ্ছেন শুধু ব্যক্তিলাভ বা ইহকালীন লাভের আশায় শয়তানের আকাঙ্খা পরিপূর্ণতা দিতে।
বর্তমান পৃথিবীর আচরণের বিপরীতে কি ধরণের আচরণ বা কথাবার্তা বলা প্রয়োজন তা আমরা ভুলে গেছি। শুধু উষ্ণায়নের কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছি। মানুষ মানুষের জন্য এবং জীবন জীবনের জন্য এই পংক্তিগুলো ভুলে গেছি। নিজ নিজ দায়িত্বটুকু দায়িত্বজ্ঞানের উষ্ণায়নের চর্চায় এখন ভুলে বসেছি। তবে দায়িত্ব নিতে মরিয়া হয়ে বা উদগ্রীভভাবে অগ্রসর হচ্ছি কিন্তু দায়িত্ব পালণের সকল স্পৃহা ভুলে বসেছি। সততা ও ন্যায়পরায়নতাকে পাশ কটিয়ে মিথ্যা এবং মিথ্যার প্রবক্তাকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিজ নিজ কল্যাণে অন্যের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয়েছি। এইসকল অবস্থান থেকে বের হয়ে আসতে কি প্রয়োজন তার সঠিকতা যাচাইয়েও ভুল করে বসছি। বিশ্ব নেতারা এখন নিজ প্রয়োজনে এমনকি নিজ গুষ্টির লাভের নিমিত্ত্বে পাগলপ্রায় আচরণে মগ্ন। কিন্তু শান্তি ও স্থিতিশীলতায় এমনকি সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়সহ যাবতীয় মঙ্গলময় কাজ ভুলে শয়তানের শয়তানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও যারা স্বজ্ঞানতায় ইতিবাচক এবং সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মসম্পাদনে অগ্রগামী তাদের সামনে রয়েছে হাতছানিদেয়া বিশাল সুযোগ এবং এই সুযোগ ভান্ডারকে এখনই ব্যবহারে উপযোগী ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা ঈমানী দায়িত্বে রূপায়িত হয়েছে। তাই সকল ইতিবাচক অলংকরণে বর্তমানের নেতিবাচকতাকে এমনকি জাগতিক লোভ-লালসাকে বিতারিত করতে জ্ঞান, বুদ্ধি এবং ক্ষমা ও ভালবাসার ব্যবহারে সৃষ্টিকর্তার সহযোগীতায় অগ্রসর হতে হবে। দায়িত্বে থেকে কারো ক্ষতি নয় বরং উপকারের নিমিত্ত্বে কাজ করতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে এমনকি জনগণকে ঐ সমাধানের কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। কোনভাবেই আগাম ভুলবাল বলে নেতিবাচক কর্মকান্ডকে উষ্কেদেয়া যাবে না বরং শান্তির আবরণে, নিশ্চয়তার বিধানে সকলের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিরোধী দল ও সাধারণ জনগণ এই কঠিন সময়ে যে যারমত করে ইতিবাচক অবস্থান পাকাপোক্ত এমনকি বাস্তবতার নিরিখে ঐ পাকাপোক্তকরণে জোড়ালো ভুমিকা রাখতে হবে। নিজজ্ঞান এবং সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান উভয়ই একসঙ্গে ব্যবহারে পারঙ্গম হতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার এবং থাকার লোভ উভয়ই সম্ভরণ করতে হবে। সেবা এবং ভালবাসা ও ক্ষমার সমন্বয়ে কাজের গতিময়তা ফিরিয়ে আনতে হবে। কারো আচরণে রুষ্ট হওয়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কথা-বার্তায় লাগাম টানতে হবে। কথার ফুলঝুরি নয় বরং কাজের ইতিবাচক গতিময়তা ফিরিয়ে আনতে হবে। জনকল্যাণ বিঘ্নিত হওয়ার কোন কাজ সম্পন্ন করা যাবে না বরং যারা ঐসকল কাজে লিপ্ত তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। ঐ প্রতিহতে যেন জনঅসন্তোষ সৃষ্টি না হয় সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পৃথিবীর এই উষ্ণায়নে সকল সময় নাতিশীতোষ্ণ আচরণের বিকল্প নেই এবং নাতিশীতোষ্ণ কর্মকান্ডের ইতিবাচক ফলই আগামীর সম্মান, ক্ষমতা, অর্থ এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা আর নিশ্চয়তার শতভাগ নিরাপত্তা।
আজ বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্রান্তিকাল অতিক্রান্তে ইতিবাচক ভুমিকা রাখুন আর নেতিবাচকতাকে পাশ কাটিয়ে সামনে অগ্রসর হউন। নতুন কোন ভুলে পা দিবেন না তবে যারা কান্ডারী হিসেবে দায়িত্বরত তাদের আরো সংযত আচরণের বহি:প্রকাশ ঘটাতে হবে। কথায় এবং কাজের মিল রাখার দৃষ্টান্ত স্থাপনে মনযোগী হতে হবে। জনগণের এমনকি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি সদয় এবং মনযোগী হয়ে আগামীর কল্যাণে তাদেরকে ব্যবহার করতে হবে। কোনভাবেই কর্মী ও সমর্থকদের অসন্তুষ্টিতে আগামীর তরে আর এগুনো যাবে না বরং পূর্বের অসন্তুষ্টি লাঘবে এখনই যাবতীয় কর্মকান্ড সমাপ্ত করতে হবে নতুবা সামনের কঠিন সময়ে সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা থাকবে। দেশীয় চক্রান্ত এবং বিদেশী চক্রান্ত এখন একযোগে চলছে তাই এই দুইয়ের সমন্বয়কে গুরুত্বদিয়ে ধৈয্যসহকারে বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা ও কর্মের সম্পাদনে দৃশ্যায়মান রেখে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। শুধু কথায় এবং শক্তিতে আর গায়ের জোরে হবে না। জনসচেতনতা এবং বর্তমানের সকল উষ্ণায়ন বন্ধে দুঢ় ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে নাতিশীতোষ্ণ অবস্থান বিরাজমান রাখার মাধ্যমেই সকল কিছু আগের মত ঠিকঠাক হয়ে আরো ইতিবাচক ভালোর বা মঙ্গলের দিকে গতিময়তা নিয়ে এগুবে। তবে দাগী, নোংরা এবং লোভী এমনকি অন্যের ক্ষতি ও সমালোচনাকারীদের নিবৃত্ত করে এখন সকল প্রদক্ষেপ দৃশ্যমান রাখতে হবে। প্রশাসন এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গোপন অসন্তোষ্টি এবং চক্রান্ত অবসানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবে দৃশ্যমান রাখতে হবে। নতুবা আরো নতুন এবং ভয়ঙ্কর কোন বিপদ এই জাতিকে আচ্ছন্ন করতে পারে। তাই সকলেই সাবধান! যার যার করনীয়তে আর কোন ভুল করা যাবে না এমনকি অভিমান নিয়ে বসে থাকার আর কোন সুযোগ নেই। তাই সেই ৬৯ ও ৭১এর স্পৃহা এর পুন:জাগরণ সুনিশ্চিত করতে হবে। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব- নিকেশ আর নয় বরং দেয়ার হিসেব নিকেশ নিয়েই এগুতে হবে। আর শত দু:খ ও হতাশা এমনকি জেল জুলুম অথবা অমূল্যায়নের বা অসম্মানের দিকে না তাকিয়ে দেশ ও দল এবং উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগুতে হবে। এই হউক আজকের এবং আগামীর করনীয় আর কি বলতে কি বলে…রে…এর সুচিন্তিত মতামত ?!…।

Leave a Reply

Your email address will not be published.