কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ

যুগের চাহিদায় এবং সময়ের প্রয়োজনে আর চক্রান্তকারীদের কুচক্রান্তের আবরণে এখন কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ। ঠিক এই সময়ে আসছে আবার জাতীয় নির্বাচন। সবই যেন খেয় হারিয়ে গোলক ধাধায় পরিণত হচ্ছে। তবে যাই হউক সবাই চেষ্টা করছে যেন একটি শান্তিপ্রীয় সহাবস্থানে বসবাস করে আগামীর উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধনে সফলতা ঠিক রেখে জাতী হিসেব আমরা গর্বিত অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারি।
চীন এবং ভারতকে খুশী রেখে সাম্য বিরাজমান রাখা খুবই কঠিন তারপরও হাল ছেড়ে দিলে চলবে না বরং এই দু’ইকেই সন্তুষ্ট রেখে এগিয়ে যেতে হবে। এই চলমান প্রচেষ্টায় চোখ কান খোলা রেখে অগ্রসর হতে হবে। মরার উপর খারার ঘ্যাঁ হিসেবে এখন আবির্ভূত হয়েছে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি। তবে এর লাগাম টেনে ধরা খুবই জরুরী। বৈশ্বিক সমস্যার কথা বলে পাশ কাটানো দায়সারা জবাব এবং কাজ এখন আর করার কোন সুযোগ নেই। কারণ সামনে নির্বাচন। একটি কথা আছে নিমুখ খারাম। শুতরাং এই শব্দটির প্রয়োগের সময় সামনে ঘনিয়ে আসছে তাই যাতে নিমুখ খারামী কেউ করতে না পারে সেইদিকে দৃষ্টি পরখ করুন। আরেকটি কথা আছে যাদের জন্য করলাম চুরি তারাই আজ আমাকে বলছে চোর। শুতরাং অনেক করেছেন ও অনেক দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন এমনিক দিবেন কিন্তু ঐ প্রবাদটির কথা মনে রেখে এখনই কর্মসম্পাদনে আরো মনোযোগী হউন। কথা এবং কাজের সমন্বয় করে দৃশ্যমান বাস্তবতায় জনসম্মুখ্যে সকল কিছু আনয়ন করুন।
বৈশ্বিক মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ, অবরোধ, পাল্টা অবরোধ এর স্বীকারের কথা বলে পার পাওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট আর নেই। উন্নয়ন মহাকাব্য এবং উন্নতির সোপানেরও বাস্তবিক প্রমানে জনসন্তুষ্টিতে কাজে আসবেন না বরং নিত্য পন্য এবং দ্রব্যমুল্যের উদ্ধগতি নিয়ন্ত্রণই একমাত্র মাধ্যম এবং আগামীর ক্ষমতা পাকাপোক্তকরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হবে। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং দ্রব্যমূল্যের লাগাম এখনই টেনে ধরুন। নতুবা সাধারণে কিছু অসারণ কাজ করুন যাতে ঐসকল প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।
দল মত নির্বিশেষে এখন সাধারণের একটি প্রশ্ন উদ্ধগতির লাগাম টেনে ধরা। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিরাজমান রাখা। তাই এই কাজটুকু সুসম্পন্ন করতে সময় ক্ষেপন না করে যেকোনভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন এবং এর দৃশ্যমানতা বিরাজমান রাখুন। কোনভাবেই দাম্বিকতার অমীয় বাণী প্রকাশ করা যাবে না বরং নম্রতা এবং জনআকাঙ্খা পুরণের মানুষিকতা প্রকাশে চেষ্টারত থাকুন। নতুবা এক বালতি দুধে এক ফুটা চেনার অবস্থা দৃশ্যমান হবে।
বৈশ্বিক যুদ্ধের কথা দুরে রেখে নিজ দেশের বিরাজমান মল্লযুদ্ধ অথবা কথার যুদ্ধ বা চক্রান্তের সর্বোচ্চ যুদ্ধ দমনে সক্রিয় হউন। তবে পেশি শক্তির মহড়ায় নয় বরং বুদ্ধিমত্তার মহড়ায় এগিয়ে আসুন। এই দেশীয় শত্রুদের সহায়তায় বিদেশীদের মদদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তা অবলোকন করুন এবং এর প্রতিরোধে চক্ষুশুল নয় বরং বন্ধু হয়ে বন্ধু হিসেবে মোকাবিলা করে উচিৎ শিক্ষায় চপেটাঘাত করুন। তবে এখনই সময় ও জ্ঞান ব্যবহারের এবং এখনই সময় ও জ্ঞান যাচনা করার। জ্ঞানের আলোকে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করুন। শত্রু মিত্র এখন চিনে নিয়ে সামনের কঠিন সময় অতিক্রান্তে নিসংকোচে ও নির্ভয়ে এগিয়ে যান।
বিপদে বন্ধুর পরিচয়। আর এই বিপদেই বন্ধুর সহায়তা নিয়ে বন্ধুর বিপদের সারথি হিসেবে নিজেকে নিবেদিনপ্রাণ হিসেবে নিয়োজিত করুন। তাই পরিক্ষীত বন্ধুদের দেয়া কষ্টতেও তাদেরকে পরিহার করবেন না বরং তাদের সঙ্গে থেকে অগ্রসর হউন। কারো কানকথায় কান না দিয়ে নিজের কর্ম ও চিন্তা এবং পরিকল্পনাকে আরো সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করণে মনোনিবেশ করুন। অন্যের শত্রু হওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন; এই সময় শত্রুরও শত্রু হতে যাবেন না বরং শত্রুকে বন্ধুর মত সহযোগীতা করুন যাতে তিনি তার শত্রুতার ফাঁদে পরে নিজেই নি:শেষ হয়ে যান।
আগামীর কল্যাণ এবং উন্নয়নের গতিশীল ধারাবাহিকতা আর সহাবস্থানের স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার পুনাঙ্গ রূপ রস গন্ধ দৃশ্যমানের ক্ষেত্রে চৌকস ভুমিকা পালন করুন। কোনভাবেই নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতায় ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না এমনকি ব্যাঘাত ঘটার সমুহ সম্বাবনাক এখনই সমুলে উতপাটন করুন। জনমনে স্বস্তির নি:শ্বাস বজায় রাখতে কাজ করুন। জনবান্ধবে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখুন। কল্যাণকামী চিন্তায় স্বজাগ থেকে সচেতনতায় অগ্রসর হউন। অতীতের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধুরন এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন দৃশ্যমান রাখুন। সকল নেতিবাচকতাকে এমনকি ষড়যন্ত্রের কুচক্রান্তকে জনসম্মুক্ষ্যে আনয়ন করুন। নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নেয়ার দৃশ্যমান প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার আহবান করুন।
পরিশেষে বলতে চাই ক্ষমতা এবং সেবার দায়িত্ব আসে উপরওয়ালা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে। তিনি যাকে চান সেই আগামীর সেবক হিসেবে মনোনিত হবেন। তবে আমরা এখন সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে ফিরে যাই যাতে তিনি আমাদেরকে চেতনা দিয়ে আগামীর করণীয় ঠিক করতে সাহায্য করেন। তবে জ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত হলে সৃষ্টিকর্তার কাছে জ্ঞান চাই; কারন তিনি প্রচুর পরিমানে উপচে পড়ার মত করে দিবেন। “চাও তোমাদের দেয়া হবে, প্রয়োজনের চেয়ে বেশীই দেয়া হবে।” যাদের জ্ঞানের অভাব আছে তারা আমার কাছে জ্ঞান চাও আমি তোমাদের প্রচুর পরিমানে জ্ঞান দিব।” বেহেশত যে জ্ঞান নেমে আসে তা প্রথমত খাঁটি এবং নম্র। ভন্ডামী শুন্য আর সকলের উপকারের জন্য। হ্যাঁ আমরা এই কঠিন সময়ে সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান কামনা করি এবং সেই জ্ঞানের আলোকে নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলি। যাতে করে আগামীর সকল অপশক্তি এবং কুচক্রান্তকে পরাভুত করে কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশকে উৎড়ে নিয়ে বর্তমানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারি।
আমাদের জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জ্ঞানীদেরকে বলতে চাই- আপনারাও এখন দায়িত্ব নিন। যার যার অবস্থান থেকে আগামীর ভাবনায় স্ব স্ব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভুমিকা রাখুন। সরকারের একার কাজ নয় যে, কঠিন সমীকরণে উত্তরণ ঘটানোর। এটা আমার আপনার সকলের কাজ। তবে কেউ কেউ এটাকে নিজেদের আখের গোছাতে অথবা আগামীর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা করছেন। তবে সাধু সাবধান! এই খেলায় জয়ী হওয়া কঠিন তবে নেতিবাচকতা নিয়ে জয়ী হওয়ার সমুহ সম্বাবনায় সৃষ্টিকর্তার সাহায্য পাওয়া কঠিন; তাই সৃষ্টিকর্তার সাহায্য পাওয়ার জন্য ফিরে আসুন সঠিকতায় এবং সকলের কল্যাণকামী চিন্তায় মনোনিবেশ করুন। বর্তমানের সমস্যা ক্ষমতার হাতিয়ারে পরিণত না করে বরং সমস্যা মোকাবিলায় নিজেরা নিয়োজিত হউন। যাতে জনগণ স্বচক্ষ্যে এই অবদান মূল্যায়ন করে বৃহত্তর সেবার দায়িত্ব নির্ভয়ে আপনার উপর বর্তাতে পারে। মহান সৃষ্টিকর্তাও ঠিক এটাই চান। আর সেই ক্ষেত্রে আপনার আমার পরিক্ষা হলো এই চলমান ক্রান্তিকাল। আসুন ব্যক্তিস্বাথ্য, দলীয় স্বাথ্য এবং গোত্র/গোষ্ঠি স্বাথ্য থেকে বের হয়ে এসে সামগ্রীক আর সার্বজনীন স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত হয়। যাতে আগামীর কল্যাণ সাধনে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমিও একজন প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে গর্বিত অনুভব করতে পারি। শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা আর নিশ্চয়তা বিধানে সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রতি বদ্ধপরিকর আর আমরাও তাঁর সাথে একাত্ত্বতায় যুক্ত থেকে সেই অবস্থান বিরাজমানে কর্মী হিসেবে কর্মরত আছি এবং থাবক। জয় আমাদের সুনিশ্চিত ছিল, আছে এবং থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.