‘আইসিপিসি’ চূড়ান্ত প্রতিযোগীতা সম্পন্ন

প্রশান্তি ডেক্স॥  ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিশ্বকাপ আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্ব। আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা শিরোনামের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৭টি দল অংশ নেয়। এরমধ্যে ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশের আটটি দল। গত বৃহস্পতিবার ছিল প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ প্রবলেম সলভিং টেস্ট।    

আয়োজক কর্তৃপক্ষ গত  বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিককে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল আয়োজনের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আইসিপিসির নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি চলমান আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকার প্রধান ও উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিশ্বকাপ আইসিপিসি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, হোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার প্রমুখ অংশ নেন।

ড. বিল পাউচার আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা সফলভাবে আয়োজনের জন্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে আইসিটি বিভাগ এবং বালাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান।

সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য থেকে ১৩৭টি দল ঢাকা ফাইনালসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৭০টি দেশ থেকে এক হাজারের বেশি অতিথি প্রতিযোগিতা উদযাপন করতে ঢাকায় আসেন। গত ৮ নভেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালের ৪৫তম আসর শুরু হয়েছিল, যা প্রোগ্রামিং ওয়ার্ল্ড কাপ নামে পরিচিত।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে আইসিপিসির ৪৫তম আসরের নির্বাহক এজেন্সি বিসিসি এবং বাংলাদেশের থেকে হোস্ট ইউনিভার্সিটি হলো ইউএপি।

আইসিপিসি রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর (আরসিডি), ছাত্র, বিচারক, প্রশিক্ষক, স্পন্সর ও অংশীদারদের নিয়ে এক বিশাল সমাবেশে পরিণত হয় আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল অনুষ্ঠান। ভেন্যু ও হোটেল জুড়ে এই গ্রুপগুলোর কার্যক্রম এবং ইভেন্টগুলোও বিশ্ব ফাইনালের একটি অংশ। প্রতিযোগীদের জন্য গেমিং সুবিধাসহ একটি চিল জোন, মুজিব কর্নার, আইসিটি বিভাগের একটি প্যাভিলিয়নসহ স্পনসর শোকেস জোন আইসিসিবির ২ নম্বর হলে স্থাপন করা হয়। প্রতিযোগিতার ড্রেস রিহার্সাল ছিল গত  ৯ অক্টোবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.