নম্রতায় জয়

কাজের ক্ষেত্রে, চিন্তার ক্ষেত্রে, পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এমনকি সার্বজনীন প্রয়োজনে জীবনের প্রতিটি স্তরে জয় সুনিশ্চিত করতে হলে নম্রতা এবং বিনয় ও নিরবতা একান্ত জরুরী। এ যুগের চাহিদায় এই নম্রতা উর্ত্তীর্ণ হয়েছে এবং বিভিন্ন জয় নিজেদের ঘরে তুলেছে। তাই আসুন নম্রতাকে নম্রতায় বরণ করি এবং জীবনের প্রতিটি স্তরে এর ব্যবহার সুনিশ্চিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করি। নম্রতার কোন বিকল্প নেই। ইদানিং যেসকল উগ্রতা নির্ভর কর্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে এবং হচ্ছে ও হবে সেইসকল কর্মকান্ডে উগ্রতার পরাজয় হয়েছে এবং সামনেও হবে। আর যেসকল কর্মকান্ড নম্রতায় পরিচালিত হয়েছে এবং হবে সেইসকল কর্মকান্ডের জয় দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই ক্ষেত্রে চলমান বিশ্ব দৃষ্টান্ত এবং বাংলাদেশের দৃষ্টান্তও ঘেটে দেখতে পারি। তবে এই দৃষ্টান্তগুলির পক্ষে এবং বিপক্ষে কোনটিতেই আমি নেই। বরং যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং কূটচালে ক্ষতিকরা বা পরাজিত করে অন্যায় সুপ্রতিষ্ঠীত করা আমার ঈমান ও আমলের পরিপন্থি। তারপরও গরম গরম দৃষ্টান্তের আলোকেই ব্যবহার করছি মাত্র। “এইতো গেলো বছরের শেষলগ্নে বিএনপি তথা স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজসে গরম গরম উগ্র ও ধ্বংসাত্মক মনোভাবের বহি:প্রকাশের পরাজয় হয়েছে। সার্বিক এই পরাজয়ে সত্যের এবং নম্রতার জয় হয়েছে। যে হিংস্র এবং মারমুখী ও মুখসৃত অগ্নীস্ফুলিঙ্গ ঝরছিল তা দুর্ভাগা জাতির ভাগ্যে কাম্য ছিলনা। তাই ঐ শয়তানি বা উগ্রবাদিতার অবসান হয়েছে তবে এখনও এর রেশ বাতাসে ভেসে ভেড়াচ্ছে। তাই ঐ ভেসেবেড়ানো বিষ থেকে সাবধান হউন। অপরদিকে ইউক্রেইন এবং রাশিয়া যুদ্ধের মাঝেও নম্রতা জয় পেয়েছে। কখনো কখনো উগ্রতাও জয় পেয়েছে কিন্তু নিরবতা এবং নম্রতার সমন্বয়ে জয়ের পাল্লা ভারী হয়েছে। তবে যুদ্ধ এবং দখল ও সেংশন অথবা পাল্টা সেংশন বন্ধ হওয়া জরুরী। কারণ সৃষ্টিকর্তার অভীপ্রায়ে এইসকল অপরাধ এবং সৃষ্টিকর্তা বিরোধী কর্মকান্ড। যা শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সৃষ্টির সেরাজীব মানুষ বাস্তবায়ন করছে। আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তার সহায়তা নিয়ে ঐসকল নৈরাজ্য বন্ধ করি।

এই জাতির সৃষ্টিলগ্নেও নম্রতা ও বিনয়ী মনোভাবের জয় হয়েছিল। এই দৃষ্টান্ত এখন আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় এবং চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে। এই দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ব্যক্তিটি আর কেউ নন তিনি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর জীবন ও মৃত্যু এবং প্রকাশিত গ্রন্থে আর অমর ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে আমাদের আগামীর দীগবিজয়ী যাত্রাপথের দিশারী। এই মানুষটিকে অনুসরণ ও অনুকরণ করে নম্রতায় এগিয়ে গেলে আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না এবং অতিতেও পারেনি। তবে কখনো যেন অহংকারের বশবর্তী না হই; কারণ কথায় আছে অহৎকার পতনের মূল। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের পিছনে, সম্মুখ্যে এবং মাঝখানে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে নম্রতা এবং বিনয়। আর এই নম্রতায় ভর করেই আজ অপরাজেয় জাতী হিসেবে সার্বিক অঙ্গনে বিজয় ছিনিয়ে এনে একটি স্থায়ী অবস্থানে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে  বিশ্বজগতের সামনে দৃষ্টান্ত এবং আশার বাতি হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করছি। এ যাত্রায় আগামীতে আপনার এবং আমার এমনকি সকলের ভুমিকা প্রস্ফুঠিত হউক নম্রতার আবরণে। বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা বন্ধ করুন এবং সময় থাকতে নিজেকে ইতিহাসের মনিকোঠায় স্থান করিয়ে নিন; নতুবা আগামীতে ঘৃণীত ও ধীক্কারলব্ধ জীবন যাপনে নিমজ্জ্বিত হবেন। পূর্বের নেতিবাচক ইতিহাসের আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বরং নতুন ইতিবাচক ইতিহাসের জন্ম একের পর এক যা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট পর্যায়ে রূপান্তরিত হবে। তাই এই সময়ে নিজেকে পরিবর্তন করুন এবং বদলিয়ে নতুন ইতিহাসের স্বাক্ষী হউন।

এবার আসি আমাদের দেশের সোনার ছেলেদের উচ্ছাসময় কর্মকান্ডের অগ্নীশিখায়। আমার দেখা ও জানামতে এই উদীয়মান তরুন প্রজন্মের অতি চৌকস ও মেধার উচ্ছাসে উদ্ভাসিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃদ্ধের গতিময়তা এবং উন্নয়নের সফলতায় আমরাও খুশি এবং প্রশসংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন আমরা এগিয়েছি আর আরো এগিয়ে যাবো। তবে যাত্রায় সঙ্গি হবেন আপনারা কিন্তু আমাদেরকে আপনাদের সঙ্গে রেখে আরো একটু বিনয়ী হয়ে সদয় দৃষ্টি দিয়ে আমাদের কথাগুলো শুনে আগামীর কল্যাণের তরে কার্যসম্পাদনে মনোযোগী হতে বিনয়ী আরজি রাখছি। সচিব, এনএসআই, পুলিশ কর্মকর্তা, এসবি এবং এনজিও কর্মকর্তা আর ভিসা অফিস কর্মকর্তাদ্বয় এমনকি বিডা ও ট্যাক্স এবং ভ্যাট কর্মকর্তাদ্বয় কে এই বিনয়ী মিনতি জানাচ্ছি। আপনারা কঠোর পরিশ্রম করেন এবং জাতির ভাগ্যাকাশে আনন্দের উচ্ছাস যুক্ত করেন আর আমরা আপনাদের সহযোগীতা করে ঐ উচ্ছাসকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিতে চাই এবং এগিয়ে দিতে চাই যার সম্পূর্ণ কৃতীত্বই আপনাদের। তবে এই ক্ষেত্রে একটি নিলোর্ভ ও বিনয়ী এবং মার্জিত এমনকি সহযোগীতার মনোভাবাপন্ন হলে আমাদের অংশগ্রহন আরো কর্মময় এবং ফলপ্রসু হবে। বিদেশী অনুদান এবং বিদেশী অভিজ্ঞ কর্মীর কর্মঅভিজ্ঞতার সুফলতা একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং এই দুইক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগীতা এক ও অভিন্ন। প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী সংস্থা বা দপ্তরগুলি এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করার বিনয়ী আহবান জানাচ্ছি। কেউ যেন কারো কাজের অন্তরায় বা প্রতিবন্ধকতা না হয় সেইদিকে লক্ষ্য দেয়া অতি জরুরী। কারণ ইদানিং আমাদের যৌথ কর্মকান্ডের যোগফল হচ্ছে সরকারের দুর্নাম এবং আমাদের প্রীয় মার্তৃভুমির অসম্মান। জাতির পিতা এই অসম্মান অর্জনের জন্য এই দেশ আমাদের হাতে দিয়ে যাননি। যারা আমরা দায়িত্ব পেয়েছি তারা প্রত্যেকেই এই দায়িত্ব জাতির পিতার আদর্শের; প্রথম ডিসি সম্মেলনের ভাষনের নির্যাস হলো সেই সেবকের মতই যেন হয় সেবাটুকু সেই বিবেচনাটুকু প্রত্যেকের কাছে প্রত্যাশা করি। ক্ষমতা এবং দায়িত্বকে বাহাদুরী এবং অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পরিবর্তে সেবার মনোভাবে পূর্ণতা দিয়ে কাজ করার জন্য সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান এবং জাতির পিতার আহবানের সঙ্গে আমার বিনয়ী অনুরোধ হিসেবে আপনাদের সকলের নিকট রাখতে চাই। আগামী দিনে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও উন্নয়নকামী চিন্তা চেনতায় যেন সৃষ্টিকর্তার সেই অমীয় বানীগুলোকে কাজে লাগাই। আপনাকে আমাকে সৃষ্টি করার পূর্বেই তিনি আপনার এবং আমার জন্য ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন এবং পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তবে সেই পরিকল্পনার মধ্যদিয়েই আমরা আমাদের মঙ্গলের জন্য সকল উন্নয়ন এবং অগ্রগতি সাধিত করি। সৃষ্টিকর্তার বানীটি এইরকম“ তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি, সেই পরিকল্পনা তোমাদের মঙ্গলের জন্য, অপকারের জন্য নয়, বরং সেই পরিকল্পনার মধ্যদিয়েই তোমাদের ভবিষ্যতের আশ পূর্ণ হবে।” হ্যা তাই যেন হয়। এখন আমাদের কাজ হলো সেই পরিকল্পনাকে খুজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী নিজেরা অগ্রসর হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। তবে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত্ব পরিকল্পনা হলো সকলেরই মঙ্গলের জন্য; ঐ পরিকল্পনা দ্বারা করোরই ক্ষতি সাধিত হবে না বরং সৃষ্টির সকলেরই মঙ্গল হবে। সুতরাং আমাদের সামনে সুদুরপ্রসারী চিন্তার ফসল হলো আগামীর জন্য সকলের কল্যাণের তরে পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নে নিয়োজিত হওয়া। সুনিশ্চিত ভাবেই বলা যায় সফলতা এবং নিশ্চয়তা ও নির্ভরতা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফলপ্রসুতায় প্রস্ফুটিত হবে। বাংলার ভাগ্যাকাশে এখন সময় হয়েছে সৃষ্টিকর্তার সেই কল্যাণকার পরিকল্পনার পরিপূর্ণতাই পরিপূর্ন করার। গত কয়েক বছরে সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ এই দেশের উপর উপছে পড়েছে এবং আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তায় মনোনিবেশ করি এবং সেই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত পরিকল্পনায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করে নম্রতায় সামনের দিকে অগ্রসর হই। যে যতবেশী বিনয়ী ও নম্র হতে পারবো ততই মঙ্গল আমাদের সঙ্গে জোর কদমে অগ্রসর হবে। কোন বাধাই আর আমাদেরকে পরাভূত করতে পারবে না বরং সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি এবং যাব আর সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য এবং উপহার বিশ^দরবারে বিলিয়ে যাব। 

Leave a Reply

Your email address will not be published.