বন্দিদের ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ দিতে চায় কারা (জেল) প্রশাসন

প্রশান্তি ডেক্স॥ কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুবিধার্থে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বজনদের কথা বলার সুযোগ দিতে সরকারকে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে—বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুবিধার্থে ভিডিও কলের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এজন্য কারাগারের সাক্ষাৎ কক্ষে স্বচ্ছ গ্লাসের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে তার মধ্যে কথা বলার ব্যবস্থা নেওয়া যায়। চলমান জেলা প্রশাসক সম্মেলনে গত  বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আলোচনার কথা রয়েছে।  

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পেলে বন্দি ও স্বজন উভয় পক্ষই স্বচ্ছভাবে একে অপরকে দেখার কারণে তারা মানসিক প্রশান্তি লাভ করবে। কারাগারেও বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের যাতায়াত কমে যাবে। বন্দি ও তাদের স্বজনদের সময়; খরচ ও পরিদর্শন বা ভিজিট কমে যাবে।

মাদকের ছোবল থেকে মু্ক্ত হয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে কারাগারের ভেতরে মাদকসেবী কয়েদিদের জন্য মাদক নিরাময় কেন্দ্র চালু করার প্রস্তাবনা দিয়েছে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন। মাদক সেবনের কারণে যারা কারাভোগ করছেন, তাদের মধ্যে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে কাউন্সিলিং করার কথাও বলা হয়েছে। এতে মুক্ত জীবনে তাদের জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সহজতর হবে।

ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবনায় বলা হয়, আধুনিক নিরাপত্তা সংবলিত একটি কারাগার প্রয়োজন ভোলায়। বর্তমানে ভোলায় যে কারাগার আছে সেটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। বহু বছর আগে নির্মিত এই জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি রয়েছে। ভোলায় আধুনিক সুবিধা সংবলিত কারাগার নির্মিত হলে অপরাধীদের সংশোধন করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আওতায় নৌ ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। প্রস্তাবনায় বলা হয়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কয়েকটি উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম জলপথ। এসব উপজেলার স্থলভাগগুলো কাপ্তাই হৃদের মাধ্যমে পরিবেষ্টিত। এতে স্থলপথের যানবাহনগুলো (ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি) উপজেলার সর্বত্র সমানভাবে যেতে পারে না। তাছাড়া, এ এলাকায় স্থলপথের চেয়ে নৌপথে অধিকাংশ স্থানে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব। এসব কারণে রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলায় নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন প্রয়োজন।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ওয়াকিটকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। প্রস্তাবনায় বলা হয়, বান্দরবান জেলায় অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিত ফায়ার ফাইটাররা দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে নির্দেশনা পেতে বিলম্ব ও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.