অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এশিয়া ও ইউরোপে মোতায়েন- যুক্তরাষ্ট্র

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা তীব্র হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা অত্যাধুনিক মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রশান্ত মহাসাগর ও ইউরোপে নিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলোর স্থলে মধ্যপ্রাচ্যে পুরনো এ-১০ মডেলের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে যাচ্ছে দেশটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এপ্রিলে এই পরিবর্তন আনা হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে নৌ ও স্থলবাহিনী পরিমিত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এই পরিবর্তন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, বৈশ্বিক বিমানবাহিনীর ব্যবস্থাপনা জটিল ও গতিশীল। আমাদের বাহিনী ও জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের ওপর হুমকি বিবেচনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন। তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এশিয়া ও ইউরোপে মোতায়েন পরিকল্পনার বিস্তারিত সুনির্দিষ্টভাবে বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বদলে পুরনো এ-১০ মোতায়েনের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা। তাদের আশঙ্কা, এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি দুর্বল হতে পারে। মার্কিন বিমানবাহিনীর এ-১০ যুদ্ধবিমানটিকে ‘ট্যাংক কিলার’ হিসেবে ডাকা হয়।

মার্কিন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ল্যারি স্টুটজরিম বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রশান্ত মহাসাগরে বড় হুমকি মোকাবিলায় উপযুক্ত যুদ্ধবিমান পাওয়া। এ-১০ যুদ্ধবিমান এখনও মধ্যপ্রাচ্যে সেন্ট-কম মিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের ভবিষ্যৎ সংঘাত মোকাবিলার জন্য একটি সামরিক জোটকে শক্তিশালী করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের এক দিন পর।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত চীনের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে চীনা সামরিক বাহিনী। অভিযোগ অনুসারে, বেইজিং এর সমুদ্রসীমায় একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নজরে আসে চীনা সামরিক বাহিনীর। সতর্কবার্তা জানিয়ে সেটিকে ফেরত পাঠায় চীন।তবে চীনা দাবির বিরোধিতা করে মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে, যুদ্ধজাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে ‘রুটিন অপারেশন’ পরিচালনায় ছিল এবং বিতাড়িত হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.