সাকিবের দেখানো পথেই বাংলাদেশের এমন বদলে যাওয়া

প্রশান্তি ডেক্স ॥ রেকর্ড ভাঙ্গা গড়ার মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে আয়ারল্যান্ড সিরিজ। অনেক প্রথমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টানা ৫ টি-টোয়েন্টি জয়ের নজির। এর আগে এই ফরম্যাটে এতটা ধারাবাহিক কখনও ছিল না বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই এই ফরম্যাটে সাকিব আল হাসানের দল আমূল বদলে গেছে। খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও দলের ইনটেন্ট বদলানোর বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই প্রতিপক্ষকে আগ্রাসী ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত নাস্তানাবুদ করছেন তারা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অবাক করে দেওয়ার মিশন। দাপুটে ভঙ্গিতে ইংলিশদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে। যার ধারাবাহিকতা টেনে এনেছে আইরিশদের বিপক্ষেও। এভাবে ধারাবাহিকভাবে সফল হওয়ার রহস্য জানিয়েছেন ওপেনার রনি তালুকদার। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টিম হোটেলে গণমাধ্যমে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, ‘সাকিব ভাই কিংবদন্তি খেলোয়াড় সেটা আপনারাও জানেন। তার সঙ্গে যখন আবাহনীতে খেলেছি, আজ থেকে ১২ বছর আগে, তখনও একই অভিপ্রায় ও মনমানসিকতা তার ভেতর ছিল। সাকিব ভাই সবসময় ইতিবাচক থাকতে আর ডমিনেট করার চেষ্টা করেন। নিজের এই ডমিনেটিং চিন্তাভাবনাই দলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার কথা, আমরা খেলবো বাঘের মতো।’

সাকিবের মন্ত্র নিয়ে রনি আরও বলেছেন, ‘তার কথা আমরা ডমিনেট করার চেষ্টা করবো। ভয়ডর থাকবে না। সবসময় ইতিবাচক ইন্টেন্ট নিয়ে মাঠে নামবো। তাতে কখনও ব্যর্থ হতে পারি, আবার দেখা যায় সফলও হবো। যদি এ জিনিসটা ক্যারি করতে পারি, তাহলে সফলতার হার বাড়বে।’

রনি এখন পর্যন্ত দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাটিং করছেন। শুরু থেকে খেলছেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ইনিংস না পেলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ইনিংসের দেখা পেয়েছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর ৩৮ বলে করেছেন ৬৭ রান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ২৩ বলে ৪৪ রান করে থেমেছেন। রনি জানিয়েছেন, দল তাকে বিপিএলের খেলাটাই জাতীয় দলে খেলতে বলেছিল, ‘আমি পজিটিভ ইন্টেন্ট নিয়ে মাঠে নামি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে ভূমিকা দিয়েছে, সেটা খেলার ধরন দেখেই। বিপিএলে তারা আমার খেলা দেখেছে, ইংল্যান্ড সিরিজের আগেও বলেছে বিপিএলে যা করেছি, সেটা জাতীয় দলেও অব্যাহত রাখতে।’ সম্প্রতি দলে নিয়মিত হলেও রনির শুরুটা ছিল হতাশার। ২০১৫ সালে একটি ম্যাচ খেলে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন ৮ বছর পর। প্রত্যাবর্তন সিরিজটা রাঙ্গানোর পর তাকে এখন অনেকটাই থিতু বলা চলে। নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে রনি বলেছেন, ‘আমার এই জায়গায় হারানোর কিছু নাই। আট বছর আগে যে রকম… শুরু থেকেই খেলার প্যাটার্নটা এই রকম ছিল। পজিটিভ ইন্টেন্ট নিয়ে মাঠে নামি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, ওটা করার চেষ্টা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.