বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতাব্বরী

বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতাব্বরীর কোন কমতি নেই তবে এইবার নির্বাচন প্রাক্কালে এর রকম ফের পাল্টে নতুন কৌশলে কৌশলী ভুমিকার অবতরণ করছেন মাত্র। এই মাত্রতেই কিন্তু খান্ত নন বরং এর মাত্রাবৃদ্ধিকল্পে নানান পরিকল্পনা এটে দেশে ও বিদেশে এর তোরজোর বৃদ্ধি করে কাজের ধারাবাহিকতা ও গতিময়তা বিরাজমান রাখছেন কর্ম ও কর্মসম্প্রাদনকারীরা।

আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। কিন্তু এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে কর্ম সম্পাদনে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্তদের খবরদারী বা নজরদারীর মুখাপেক্ষী থাকতে হয়। পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত ও কাজ সম্পাদনে শতকোটি বাধার মুখোমুখি হতে হয়। তবে এই বাধা ডিঙ্গিয়ে যে কোন কাজ সম্পাদনে চোখ রাঙ্গানী এমনকি বিভিন্ন স্যাংশনে জর্জরিত হতে হয়। তবে এখন নতুন করে আসছে ভিসা নীতির ছোবল। যদিও এই ছোবলে দেশের বা দশের কোন ক্ষতি পরিলক্ষিত হবে না বরং দেশের সুনামে একটু তিলক এটে দেয়া হলো। বিশ্ব মোড়ল বা আন্তর্জাতিক মাতাব্বরগণ কখনো চায়না একটি দেশ পুরোপুরো স্বাধীন থেকে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির চুড়ান্ত সীমায় পৌছাক। বরং তাদের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা হল; দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত থেকে মাতাব্বরদের মুখাপেক্ষি থেকে কোনরকমে দিনগুজার করুক এবং তাদের হাতের পুতুল হিসেবে পরিগণিত হউক। কিন্তু এর ব্যত্বয় ঘটলেই সর্বনাশ থেকে মহাসর্বনাশ।

যুগ যুগ ধরে মীরজাফরদের আভির্ভাব ঘটেছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। হয়তো মিরজাফরক চিহ্নিত করা গেছে আবার চিহ্নিত করা যায়নি। তবে যখনই চিহ্নিত করা গেছে তখনই কিন্তু সময় শেষ হয়ে গেছে। সময় থাকতে মিরজাফরদের চিনা বড়ই কঠিন। এই মিরজাফররাই সকল উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ভোগে এমনকি উদযাপনে প্রতিবন্ধকতাকারী। মিরজাফরদের কারণেই দেশে দেশে নৈরাজ্য বহমান। মিরজাফরদের সহযোগীতাই বিশ্ব মাতাব্বরদের দৌরাত্ব পরিলক্ষিত হয়। মিরজাফররাই সকল অগ্রগামীতায় বাধা। তাই এখন সময় এসেছে মিরজাফরদের সময়ের প্রয়োজনেই চিহ্নিত করার। আর তা করতে হবে সময়ের আগেই। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগামীতাই কাদের কাদের ভুমিকা রয়েছে এবং কাদের ভুমিকা সর্বাঙ্গে থাকা উচিত ও বর্তমানের কর্মকান্ডে জনবান্ধব এমনকি উন্নয়ন ও গতিশীলতায় আর আগামীর প্রতিযোগীতায় যুগোপযোগী তা বিবেচনায় এনে আগামীর করণীয় ঠিক করতে এখনই পদক্ষেপ নিন। দেশী মিরজাফরদের চিহ্নিতকরণে আন্তর্জাতিক মাতাব্বরদের দহরম – মহরম এবং যোগসাজসী চক্রান্তের অবসান করুন। আমাদের কল্যাণে বিদেশীদের কোন ভুমিকা প্রয়োজন নেই। আমাদের উন্নয়নে বিদেশীদের কোন নাগ গলানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের অংশীদারিত্বে বিদেশীদের খোত ধরার প্রয়োজন নেই। আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় এমনকি পরিবর্তনে আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বে আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে সহযোগীতা করুন। প্রতিবন্ধকতা নয়, স্যাংশন নয়, ভিসা নীতি এবং অর্থনৈতিক কুটকৌশল নয়। এই সবের উদ্ধে থেকে পারলে সহযোগীতা করুন আর না পারলে নাক গলানো বা ক্ষতিকর মনোভাব পোষণ এবং করণীয় ঠিক করা থেকে বিরত থাকুন।

দেশীয় চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচন করুন এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে জনতার দেয়াল তুলে আটকে দিন। যাত আগামীতে আর মিরজাফরী করতে না পারেন। বিদেশী শক্তির মহড়া এবং অর্থনৈতিক ফাঁদে পা না দিতে সকলকেই আন্তরিক আহবান জানাই। নিজের ঘরের মাতাব্বরি করতে নিজেই সচেষ্ট থাকুন। অন্যকে এনে মাতাব্বরি করতে দেয়ার মানুষিকতা পরিহার করুন। নির্মল শান্তি এবং চলমান উন্নয়ন গতিময়তাকে আরো এগিয়ে নিতে নিজেরাই নিয়োজিত থাকুন। অন্যদেরকে বা প্রতিবেশীকে অথবা মায়ের চেয়ে মাসির দরদে গদগদ হওয়ার চেষ্টা বিসর্জন দিন। সময় এখন এই সকল পৌরানিক শিক্ষার অবসান ঘটানোর। নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করুন। নিজেরা নিজেদের বিভেদ এবং বিশংমবাদ ভুলে ঐক্যের সুদৃঢ় ভিত্তি মজবুত করুন। আগামীর উন্নয়ন মূলমন্ত্র হলো ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। হিংসা ও বিদ্দেষের উদ্ধে উঠে সাম্যের অলিঙ্গণে ঐক্যের মহড়াই একে অপরের কাধে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার রেওয়ার পুন:প্রতিষ্ঠা করুন। তাহলেই বিদেশী বা আন্তর্জাতিক নানাহ জনের নানাহ মাতাব্বরি বন্ধ হবে। নিজস্ব স্বকীয়তাই স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবো ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে বলতে চাই বাংলাদেশ আমাদের, সিদ্ধান্ত আমাদের, উন্নয়ন আমাদের, নির্বাচন আমাদের, তাই সকল কিছুতেই আমাদের সকলের ঐক্যে সাধিত হবে এবং আমাদের কল্যাণে আমরাই সিদ্ধান্ত নেবো। কারো দেখানো ও শেখানো পথে নয় এবং কুট কৌশলের চাপেও নয়। মাতাব্বরদের মাতাব্বরির দিন শেষ এবং মাতাব্বরদের শিখার দিন শুরু। আর নয় মাতাব্বরী, আর নয় খবরদারী, ১৬কোটি বাঙ্গালী জেগেছে এবং মাতাব্বরীর প্রতিবদ্ধক টোটকা নিয়ে হাজির হয়েছে; সুতরাং সাধু সাবধান!

Leave a Reply

Your email address will not be published.