সম্প্রীতিতে নি:শর্ত ও নি:স্বার্থ্য কার্যক্রম

সম্প্রীতিতে এক নতুন যুগের সুচনা হয়েছে যা অতিতের চেয়ে ভাল নয় বরং এই নতুনত্বকে নেতিবাচকতায় মাপার সময় এখন। সামাজিক, পারিবারিক, রাষ্ট্রিয় এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি এখন প্রায় ধ্বংসউনমুখ হয়ে পড়েছে। পুরানো অতীতকে খুঁজে ফিরে পেতে এখনই কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে সম্প্রীতি মানবতাকে আকৃষ্ট করে ইতিবাচক লোভনিয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল সেই সুদুর অতিতে ফিরে যেতে হবে এমনকি যাওয়া এখন ফরজে আইণে পরিণত হয়েছে। মানব সভ্যতায় সম্প্রীতি একটি গুরুত্বপূণ নিয়ামক। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নিয়ামতের একটি উত্তম উপদানও বটে।

সাম্প্রতিক সময়ের সম্প্রীতিতে স্বার্থপরতা এবং নেতিবাচকতা বিরাজমান রয়েছে। যা সংশোধন করা এমনকি সংশোধিত পদ্ধতিতে আগামীর কল্যাণের তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। সার্বজনীন উন্নতীর জন্য এমনকি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নিয়ামতকে উপভোগ করার জন্য প্রয়োজন এই সম্প্রীতিতে নি:শর্ত ও নি:স্বার্থ্য ভালবাসার বন্ধন। আর এই বন্ধনকে অটুটকল্পে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং কার্যক্রম নির্ভর চর্চা। এই সকল কার্যক্রম রাষ্ট্রকেই নিতে হবে এবং এই কার্যক্রমে রাষ্ট্রের সকল স্তরে ও সকল পর্যায়ের অধিভুক্ত এমনকি অন্তভূক্তকরণ করে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

জনগণের, বিশেষ করে পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি এবং ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র, রাজনীতি এবং সরকারী নীতির মধ্যে সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। নতুবা বর্তমানের বিভাজন এবং বিসংবাদ ও নেতিবাচকতা বিতারিত করার কোন সুযোগ থাকবে না। কারণ নি:শর্ত সম্প্রীতিই পারে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ এবং দ্বন্ধের অবসান করতে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের মনোমালিন্য দুর করতে। গোত্র এবং বংশের মধ্যে দরকষাকষি ও উঁচু-নীচু ভেদাভেদ দুর করতে। ধর্মে ধর্মে বিভক্তি এবং উগ্র মনোভাবসহ সকল হিংসা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম দুর করতে। শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈসাদৃশ্য দুর করতে। রাজনীতি ও নীতিতে দ্বন্ধের অবসানকল্পে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিয়ে পরমতসহিষ্ণু মনোভাব প্রদর্শন করতে। এই ইতিবাচক সম্প্রীতিকে ব্যবহার করে সকল নেতিবাচকতা এবং শয়তানের প্ররোচনার কুমতলব আটা সকল চক্রান্তের অবসান করতে এমনকি মানবতার ইতিহাসে নির্মল আনন্দ ও নিশ্চয়তা বহমান রাখতে আর দিধাদ্বন্ধ ও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায়ে ক্ষমা ও ভালবাসা এবং ধৈয্যশীল বিশ্বস্ত জিবনানন্দ উপভোগ করার সকল ক্ষেত্রকে প্রসারিত করতে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা রাখতে পারবে।

মানুষের মধ্যে যে বিভেদ প্রত্যক্ষ হচ্ছে তার অবসানকল্পে এই সম্প্রীতি নিয়ামক ভুমিকা রাখতে পারে এমনকি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মেলবন্ধনে টনিক হিসেবে কাজ করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.