স্বাধীন দেশে পরাধিনতার উস্ফালন

একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের পরাধিনতার উস্ফালন দেখে হতভম্ব হওয়ার উপর মরার উপর আতে ঘঁযা লেগেছে। কি আর করার সবই দেখার ও বোঝার এবং শেখার অংকে কষতে হবে এবং সুবোধ বালকের মতো চক্ষু বোলাইয়া বেড়াইতে হবে-ই বৈকি। এই পরাধিনতার আস্ফালন আবার আমাদেরই স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে পরাজিত মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটাতে শক্তি মহড়া দেওয়া ছাড়া আর কি? তবে রুশ এবং ইউক্রেইন যুদ্ধ কিন্তু বাবা শিশু পুত্রের যুদ্ধতেই সিমাবদ্ধ নয় বরং বিশ্বের পরা শক্তিগুলোর শক্তিমত্তা যাচাইয়ের এমনকি অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি হওয়ার একটি উপায়েরও মাধ্যম বটে। আমাদের দৃষ্টিসীমা এবং বুদ্ধিমত্তা আর জ্ঞানের সংযোজন ও বিয়োজনের যোগসূত্র বা ফল এটিই প্রমানিত করে এবং শিখনের ঘরে বুদ্ধিমত্তায় এটে রাখার ব্যবস্থা করে।

বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। কিন্তু এই রাষ্ট্রের উন্নয়ন রীতি নিতি এবং রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থা এমনকি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করে মাতাব্বরি বা খবরদারী অথবা ইচ্চানুযায়ী ব্যবহারের কৌশলী আচরণ করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনো কখনো ঐ কৌশলের স্বীকারে পরিণত হয়ে অনেকেই নি:ছিন্ন হয়ে পারলৌকিক জীবনে অভ্যস্ত হয়েছে। আবার অনেককে বিভিন্ন বাহানায় এবং নিষিদ্ধ ঘোষনায় পৃথিবীতে আগুন-পানি বাছ বা একঘরে করে রেছেছে। এরই ধারবাহিকতায় ঘুণায়মান পৃথিবীর ক্ষমতার পালাবদল। তবে সবই হলো স্বার্থের দ্বন্ধ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধার মাধ্যম। এই সকল বিবেচনায় আমাদের দেশেও চলেছে ঐসকল পৌষাচিক বর্বরোচিত মানুষদের নানান জটিল হিসেব নিকেশের খেলা। এই খেলার স্বীকারের পুজি বা রুজি হিসেবে আভির্ভূত হয়েছি আমরা সকল মানবকুল।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে মহড়ড়ার প্রদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে তাহ দেখতে সিনেমার মত আনন্দ না পেলেও দুগর্ন্ধ এবং জাতির ভবিষ্যত ধ্বংসের একটি সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি মানুষগুলো যে বেসরমী কার্যকলাপ পরিচালনা করে যাচ্ছে বা দৃশ্যমান অবস্থায় বিরাজমান রেখে যাচ্ছে তা সত্যিই বোঝতার ও ইজ্জতদারদের জন্য সরমের বা লজ্জ্বার। কিন্তু ঐ নিলজ্জ্ব ও বেহায়াদের জন্য আনন্দের। আমাদের দেশের নির্বাচন এবং সরকার ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনা এমনকি জাতির উন্নয়ন সবই নির্ভর করে আমাদের জনগনের উপর অর্থাৎ জনকল্যাণকামী সরকারের উপর। কিন্তু দু:খের বিষয়ে হলো গায়ে মানে না আপনি মোড়ল সেজে কতিপয় মুরুব্বীর মুরুব্বিয়ানা একবারেই বেমানান। তবে সরকার এবং সেই পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে বা মোকাবিলা করছে। কিন্তু বিরোধী পক্ষা বা দেশের শত্রু পক্ষ এখন নিজ নিজ ফায়দা হাছিলে প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে।

লাভ বা লোকসান এখানে কারোরই হচ্ছে না বরং উভয়েরই সার্বিক হচ্ছে এমনকি মেরুদন্ড গুণপোকার করাল ঘ্রা‡b কবলিত হচ্ছে। আমরা ঐ গুণপুকাকে এখনই সমুলে ধ্বংস করতে না পারলে ভবিষ্যতে আফগানিস্তান, শ্রিলংকা এবং পাকিস্থানের পরিণতির দিকে ঘণীভূত হওয়ার অশনি সংকেতের সাইরেন বাজাচ্ছে। যারা এখন এই নৈরাজ্যের বীজ বপন করছেন তারা সাদা পোষাকে দুধের মত ধবধবে সাদা ও বেহেস্তি ফেরেস্তার আড়ালে শয়তানের শতকোটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাধু সাবধান, সময় থাকতে মনা হোশিয়ার। এখানে বলার কোনকিছুই নেই। কারণ সবাই বোঝদার ও মানব কল্যাণের তরে ঐসকল লোকানো নেতিবাচক বীজ বপন লিপ্ত রয়েছেন।

সরকার এবং বিরোধীরা এখনই সময় একজোট হয়ে ঐ আগুন্তুকদেরকে এই পরিত্র মার্তৃভুমি থেকে বিতাড়িত করুন। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দেশের বৃহৎ স্বার্থ জলাঞ্জলি দিবেন না। কথায় আছে কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয় অথবা বৃহৎ স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়। আসুন আমরা দল মত নির্বিশেষে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ্য ত্যাগ করে বৃহৎ স্বার্থকে ধৈর্য্য ও আপেক্ষার সহিত আলিঙ্গনে আবদ্ধ করি। নিজেদের সর্বনাশ নিজেরা আর না করি। এখনই সময় ঐ লোভাতুর ডাইনুসুরদেরকে বা এলিয়নদেরকে সুকৌশলে সকলে মিলে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করি।

আমাদের নিজস্ব শক্তি ও বুদ্ধি এবং ক্ষমতা ও ঐক্যবদ্ধ সম্মতিকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় এবং ক্ষমা সহনশিলতায় এমনকি বিশ্বাস আস্থা আর নির্বরতায় আলিঙ্গন করি। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরস্পরিক সম্প্রীতি সম্প্রসারিত করি। নিজ দেশের পরবাসী না হয়ে বরং নিজের দেশে স্বাধীন মুক্ত বিহঙ্গের মত সর্বাঙ্গে উদ্ভাসিত থাকি। কথায়, কাজে, কর্ম এবং চিন্তা আর পরিকল্পনা সমন্বয়ে সার্বজনীন ঐক্য বজায় রেখে অগ্রসর হয়। বিদেশী প্রভুদের প্রভুত্বকে বর্জন করি এবং নিজেদের উপর আস্তা ও বিশ্বাস রেখে কাজে নেমে পড়ি। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে লাভ ও লোকসানের ঘরের শুন্যতাকে উপলব্ধিতায় আলিঙ্গন করে আগামীর করনীয় ঠিক করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.