ক্ষমতার মালিক কে…?…!

ক্ষমতা ও ক্ষমতার মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তা; তিনি এক ও অভিন্ন এবং অদ্বিতীয়। তাঁরই মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ পরিবর্তন হয় এবং তিনি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেণ এবং তাঁর ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। এটা হলো আদী ও মূল কথা।

পৃথিবীতে আজ ক্ষমতার মালিকের ছদ্ধবেশের বহুরূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে লোকদেখানোভাবে এমনকি পুস্তিকার পাতার লিখা পড়ে অথবা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেয়া বক্তব্যের আলোকে ক্ষমতার মালিক জনগণ-কে বোঝানো হয়েছে। তবে এই জনগণ যে বাস্তবিক অর্থে ক্ষমতার মালিক নন তাঁর প্রমান বহুপাক্ষিক যুক্তিসহকারে বর্তমানে দৃশ্যমান। তবে বুলিতে, কথায় আচরণে ও প্রক্রিয়ায় কিন্তু জনগণকে সামনে দাঁড় করিয়েই ক্ষমতার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন এবং পরিমার্জন করা হয়ে থাকে। তবে আজ আমরা জনগণ অসহায়। তাই আমাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কতিপয় রাষ্ট্র ও ব্যক্তি মিলে সাধারণ জনগণের অধিকারকে নিয়ে খেলা করছে। হরণ করছে সাধারণের অধিকার এবং সাধারণকে মুখে কুলুপ এটে পথ চলতে বাধ্য করছে।

সদ্য বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন একটি জলন্ত উদাহরণ এবং এই উদাহরণেই গনতন্ত্র ও ক্ষমতার নতুন সংজ্ঞা আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে ভাসমান থাকবে। আমাদের উদীয়মান উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদল হবে নিয়মের ছকে এবং দেশের আপামর জনগণের সুচিন্তিত মতামতের প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ্য ছাপের মাধ্যমে। কিন্তু সেই ছাপকে উপেক্ষা করে নতুন ষঢ়যন্ত্র দৃশ্যমান করে ক্ষমতার পালাবদল ঘটানোর প্রক্রিয়ায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বিদেশী শক্তির মহড়াদানকারীরা। দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে পিছনে থেকে উষ্কানি দিয়ে, পরিকল্পনা দিয়ে এমনকি প্রত্যক্ষ মদদে সহযোগীতা দিয়ে প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে কোন কার্যকরী ফল দৃশ্যমান না হওয়াতে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে স্যাংশন বা বিভিন্ন নিতি আরোপের মাধ্যমে। এই সকল প্রচেষ্টায়ও যখন ফল হচ্ছে না তখন বিভিন্ন হুমকি ও ধমকি দিয়ে রাষ্টযন্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে নতুন ইতিহাস রচনার দিকে এগুচ্ছে। এটাই কি গনতন্ত্র এবং জনগনের ক্ষমতা! রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার একমাত্র মালিক জনগণ এটা কি সত্য!

সবকিছু করেই ব্যর্থ যখন তখন সরকার ও বিরোধীরা সকলেই এখন জনগণকে ভুলেগিয়ে ধর্না দিচ্ছে বিদেশী প্রভুদের কাছে। যার যার পছন্দানুযায়ী দৌঢ়ঝাপ করে আগামীর ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখছেন। এইসকল দৌঢ়ঝাপে প্রমানিত হচ্ছে জনগণ রাষ্ট্রের ক্ষমতার মালিক নন, তাই জনগণকে তোয়াক্কা করে বা পাশ কাটিয়ে বিদেশী ক্ষমতার মালিকদের খুশিকল্পে আগামীর সকল কার্য সম্পাদনই হবে মুখ্য বিষয়। এই সুযোগে ঐ বিদেশী ক্ষমতাধারীরা তাদের শতভাগ স্বার্থ্য হাছিল করে সকলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা নিতিতে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে দৃশ্যমান অবস্থান বিরাজমান রাখছেন। সাধারণ বোঝদার মানুষজন বুঝেও না বুঝার ভান করছেন আবার কেউ কেউ দাতে দাতে কষে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।

বাংলার জনগণকে নিজেদের করে রেখে সরকার সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন যা দেখে হতভম্ব হয়েছে বিশ্বশক্তি ও এদেশিয় দোসররা। তবে মিথ্যা তথ্য ও বুলি আওড়িয়ে জনগণকে ধোকা দিতে গিয়ে বড় আসড়ে ফেসে যাচ্ছেন বিশ্বশক্তির পুতুলখ্যাত এদেশিয় দোসররা। মিথ্যা বুলি ও গালি আর যুক্তি এবং সহিংসতা এদেশীয় সাধারণ জনগণ পছন্দ করেন না এবং সহিংস আন্দোলনের দিকেও তাদের দৃষ্টি এমনকি সমর্থন রাখেন না। তবে মন্দের ভাল সাধারণের এই ধারনা বর্তমানের উপর তাই তারা আর অতীতে ফিরে যেতে আগ্রহী নয়। বরং বর্তমানকেই সমর্থন সহযোগীতা করে আগামীর লক্ষ্যে পৌঁছতে বদ্ধপরিকর। তই বর্তমানকে সড়ানোর কাজটুকু যথেষ্ট কঠিন এবং একপ্রকার অসম্ভবই।

যাই হউক গণতন্ত্র এবং ক্ষমতার মালিক যেহেতু বিদেশী শক্তিধর ব্যক্তি ও রাষ্টপ্রধানরা সেহেতু আমাদের আম জনতার দাবি এই যে, বই পুস্তকে লিপিবদ্ধ, রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ইতিহাসের স্বীকৃত শব্দের বাক্যটি “ক্ষমতার মালিক একমাত্র জনগণ” তা পরিবর্তন করা হউক। সকল ক্ষেত্রে সত্যের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হউক। তাহলে আর গোপনে লবিং এবং যোগাযোগ সমৃদ্ধ করণের কোন প্রয়োজন পড়বে না বরং প্রকাশ্যেই ক্ষমতাধর প্রভুদের প্রতি ভক্তি এবং তোষণ নীতি প্রণয়ন করে আগামীর কর্মকান্ড পরিচালিত করা যাবে। জনগণকে মিথ্যা আশ্বাস ও মিথ্যা কথার ধোকা দেয়া থেকে বিরত থাকা যাবে। সাইনবোর্ড হিসেবে আর জনগণকে ব্যবহার করার কোন সুযোগ থাকবে না।

তবে জনগণের উচিত বহিশক্তির মোখাপেক্ষিদের স্মরণাপন্ন না হওয়া এমনিক নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হওয়া অথবা কারো বর্মহিসেবে নিজেদেরকে ব্যবহৃত হতে না দেওয়া। বরং নিজেদের প্রয়োজনে নিজেদের সেবক ও কল্যাণকামী মানুষদেরকে সহযোগীতা করা এমনকি দৃশ্যমান ক্ষমতায়নে অব্যাহত সমর্থন ও সুরক্ষা দেওয়া। সকলেরই মনে রাখতে হবে আজকের পৃথিবীর ক্ষমতাধররাই শেষ কথা নয় বরং তাদের উপরও একজন ক্ষমতাধর রয়েছেন। তাঁরই কাছে সকলকে ফিরে যেতে হবে; তাঁর নিকট সমর্পন করতে হবে। তাই সেই প্রকৃত ক্ষমতার মালিককে সম্মানিত করে সেই মালিকের উপর বিশ্বাস ও অস্থা এবং নির্ভরতা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই ক্ষমতার মসনদ হবে স্থায়ী, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার অভয়ারণ্য। আসুন আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভুমিকা রাখি আগামীর নির্বাচন ও ক্ষমতা এবং গণতন্ত্রে। আমাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বাগড়া প্রদানকারীদের অস্তিত্ব বিলিন করে নিজেরা নিজেদের অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করি। যাতে আগামি দিনে বহিশক্তি এবং ষঢ়যন্ত্রকারীরা আর নতুন কোন সুযোগ প্রত্যাশা না করে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারবে আমাদের উত্তরাধিকারীক অধিকারকে সুরক্ষিত এমনকি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। সজাগ এবং সচেতনতা এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে সুসংহিত করবে বলে বিশ্বাস করি। এই ধরণের ধুরন্দরদের সুযোগ দেয়া থেকে নিজেরা বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত রাখুন। নিজের পায়ে নিজেরা আর কুড়াল মাড়বেন না। সকল নেতিবাচকতাকে পরিহার করে নিজের ঘরে অন্যকে মাধবরি করতে দিবেন না। নিজেরা নিজেদের সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হউন। একে অন্যকে নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করুন। ক্ষমা ও ভালবাসার সংমিশ্রনকে ব্যবহার করে আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করুন। ক্ষমতার মালিক জনগণকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন এবং জনগণের উপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখে আগামীর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন। জয় নিশ্চিত আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.