সময় নষ্টের আলাপচারিতায় সত্য কি?

বর্তমানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতায় নষ্ট হচ্ছে মানুষের মুল্যবান সময়। কিন্তু এই সময়ের পিছনে কেউ না তাকিয়ে বরং সময় নষ্টের আলাপচারিতায় খরচ করছে সময়, টাকা এবং মুখনিসৃত শক্তি ও সমাজ এবং পরিবেশ এমনকি সম্প্রীতি। এই অযাচিত সময়ের আলাপচারিতায় যুক্ত হচ্ছে দেশীয় ক্ষমতা এবং বিদেশী মদদ ও দেশ বিরোধী চক্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই সকল হচ্ছে বলে মনে প্রতিয়মান হয়। কে কি ভাবলো এবং কে কি করলো তা আর এখন আলোচ্য বিষয় নয় বরং এখনের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো কে আসবে ক্ষমতায়! কার বিদেশী লবিং ভালো! কিভাবে আওয়ামী লীগ এই কঠিন সময়ের বাস্তবতাকে উতড়াবে! বাংলাদেশ বিরোধী একজন সম্মানীত মানুষ যিনি নাকি বাংলাদেশকেও অনেকাংশে সম্মানিত করেছেন সেই ড. ইউনুছকে নিয়েও বাহারি আলোচনা।

জিও পলিটিক্স জমানায় এখন বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্র ক্ষমতায় এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যিনি কিনা বহু চড়াই – উৎড়াই পার করে জীবনের মুল্যবান সময়টুকু সংগ্রাম ও সাধনায় লিপ্ত থেকে বহুধা প্রতিভায় জ্ঞান সাধন করে মৃত্যুর মুখ থেকে মৃত্যুকে পরাজিত করে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদপুষ্ট হয়ে এই বাঙ্গালী জাতিকে সেবা করার কাজে মনোনিত হয়েছেন। সেই হাসিনার কর্মকান্ড এবং চিন্তা ও পরিকল্পনায় বাংলাদেশ তাঁর কাংখিত লক্ষের দিকে গতিময়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যা দৃশ্যমান এবং বিগত সরকারগুলো এই ধারে কাছেও যেতে পারেনি এবং চিন্তাও করেনি। সেই হাসিনাকে টপকাতে যে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে দৃশ্যমানতা দরকার তার হাতে হড়িও এখন পর্যন্ত চোখে পড়ে না। তবে যা দৃশ্যমান তা হলো খালি কলসির আওয়াজ। কথায় আছে খালি কলসিতে আওয়াজ বেশী। তাই এই আওয়াজে আর কাজ হবে না বরং আওয়াজ ছেড়ে জনতার প্রয়োজনে নিয়োজিত হওন। তাহলে আগামীর সম্ভাবনা সমু্‌জ্জ্বল।

জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডের সাথে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন এবং বর্তমানকে স্বীকার করে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য নতুন নতুন ইতিবাচক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসুন। তাহলেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হবে এবং দেশ ও দেশের মানুষ শতভাগ সমর্থন দিয়ে সেবার দায়িত্ব ন্যাস্ত করবে। নতুবা হতাশায় নিমজ্জ্বিত হওয়া ছাড়া কোন গতি থাকবে না। দেশী চক্রান্ত ও বিদেশী ষড়যন্ত্র এবং শক্তিশালী রাষ্টের হুমকী ও ধমকীতে সরকার পরিবর্তন হবে না। বরং সরকারের ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত হবে। এদেশের মানুষ এখন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় চাই এবং তাদের স্বতস্ফুর্ত সমর্থন ও সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছে। আগামী দিনে এর প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ইতিহাস হয়তো সবারই স্বরণে আছে; কিভাবে পরা শক্তিধর দেশকে পরাজিত করে স্বাধীন হয়েছিল আজকের বাংলাদেশ। আজ কিন্তু সেই আওয়ামীলীগ সরকারই ক্ষমতায় এবং পরা শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে এমনকি দেশীয় সেই পুরোনো রাজাকার আলবদর আল শামস এবং এদের নর্ব দোসরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোতে কোন কমতি রাখেনি এবং রাখবেও না। বরং জনতার গর্জনে এমনকি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশছাড়া হবে।

হাসিনার সরকারের পরিচ্ছন্নতার জন্য নতুন কিছু পদক্ষেপ হয়ত আগামীতে পরিলক্ষিত হবে এবং বর্তমানের ত্রুটিগুলো সংশোধন করে আগামীর কল্যাণ ও উন্নতি আরো প্রসস্থ করবে। ভাষাগত সমস্যা এবং অর্থনৈতিক সাম্যের বন্টনের সমস্যা, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির সমস্যা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সহজলভ্যতা আনয়ন স্বচ্ছতার সাথে ধারাবাহিক ক্রমোন্নতি মানুষ প্রত্যাশা করে। মামলা ও হামলা এবং হুমকি ও ধমকি থেকে রেহাই পেতে মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখপানে চেয়ে থাকে। এই বিষয়গুলোকে প্রধান্ত দিয়ে আগামীর পথ চলায় গতিবিধি আনয়ন করে জনমুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে। জন ও গণ মানুষ এটাই চাই\ যারা বর্তমানে বিদেশী লোভে প্রলুব্ধ হয়ে কাজ করছেন এবং মনোভাব পরিবর্তন করছেন তাদের চিহ্নিত করে এখনই ব্যবস্থা নিন অথবা আগামীতে ব্যবস্থা নেয়ার এজেন্ডা হিসেবে লিপিবদ্ধ করুন। দোষি ও অন্যায়কারীকে সাজার আওতায় আনার প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ করুন। নিরপরাধদেরকে ক্ষমতার দাপটে দোষি সাব্যস্থ্যে জোর প্রচেষ্টা এবং সাজার আওতায় আনার নেতিবাচক কর্মকান্ডকে এখনই বন্ধ করুন। কারণ সৃষ্টিকর্তার বিচারের আওতায় পড়া থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করুন। কারণ তাঁর কাছে ন্যায় বিচার শতভাগ নিশ্চিত। আর আমার আপনার সকলেরই বিচার তিনি করবেন। তাই আমার দ্বারা পৃথিবীতে কারো ক্ষতি হউক এই কামনা বাসনা থেকে বের হয়ে এসে বরং মানুষের বা সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করুন। অন্যের কাছ থেকে যে রকম ব্যবহার আশা করি সেইরকম ব্যবহার আমি নিজে আগে করি। সবশেষে বলি সারাংশ হলো ক্ষমতায় যারা আছে তারাই থাকবে এবং দেশ ও জনগণ তাদেরই কাছে শতভাগ নিরাপদ।  জয় হউক সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.