কি করেননি জনাব আনিছুল হক

জনাব আনিছুল হক একজন বহুধা প্রতিভার স্বপ্রতিভ স্বজ্জন মানুষ। তিনি ছোট বেলা থেকেই সেই পাদপ্রদীপের মিট মিট করে জলা প্রদীপটি এখন প্রদীপের আলোয় আলোকজ্জ্লল করেছেন মানুষের জীবন মান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যসেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সামাজিক মেলবন্ধন। তিনি দৃষ্টান্ত হিসেবে সমুজ্জ্বল রয়েছেন লাখো প্রীয়তমা স্ত্রী হারা স্বামীদের জীবনে। তিনি দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন বাবা-মা, ভাই-বোন হারা একজন স্বতন্ত্র ও নির্লোভ পরোপকারী হিসেবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মত একজন জনবান্ধব এবং জণগণমণ নন্দিত নেতা হিসেবে সর্বজন বিধৌত। তিনি নিজের টাকায় নিজের ইচ্ছায় মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব শতভাগ স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার আলোকে প্রত্যেকের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। অধিকার সচেতন এবং ন্যায়-নীতিতে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

দল মত নির্বিশেষে তিনি সমাজিক মেল বন্ধনেও সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাষ্ট্রিয় কোষাগারের অর্থে বরাদ্ধকৃত কাজটুকু সম্পন্ন না হলে নিজস্ব অর্থে সমাপ্ত করেছেন। নিজ জন্মস্থান এবং নির্বাচনী এলাকায় তিনি সকলের একমাত্র অভিভাবক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। সকলের প্রয়োজনেই তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। শতভাগ বিদ্যুৎ, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ মন্দির, শ্বসানসহ খেলার মাঠ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সংস্কার ও উন্নয়ন সাধনে পদক্ষেপ নিয়েছেন এমনকি স্ব স্ব সংগঠনকে দিয়েছেন ভুমি ও ঘর। ভুমিহীনদের ঘর দেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি ব্যতিক্রম এবং ব্যক্তিগত দান ও সহযোগীতায় তিনি অনন্য। যে যার প্রয়োজনেই তাঁর স্মরণাপন্ন হয়েছেন তিনি সেই প্রয়োজনের জোগানদার হিসেবে সক্রিয় থেকেছেন। তাই তিনি একক ও অনন্য।

দল গোছানোর ক্ষেত্রেও তিনি পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে দলকে সাজিয়ে জনবান্ধব দল বা সংগঠনে পরিণত করেছেন। তার সময়কালে দলে নেই কোন কোন্দল বা ভেদাভেদ। প্রত্যেককে তিনি মুল্যায়ন করেছেন এবং বুকে আগলে রেখে স্ব স্ব জায়গায় বসিয়ে সুযোগ দিয়ে জনতার কল্যাণে দলের পক্ষে ব্যবহার করছেন। একমাত্র তাঁরই আমলে কসবা – আখাউড়ায় নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ইউনিয়ন নির্বাচন দিয়ে জনগণের স্বতস্ফুত অংশগ্রহন নিশ্চিত করে জনবান্দব চেয়ারম্যান উপহার দিয়েছেন।

আমার বক্তব্যগুলো যদি যাচাই করতে চান তাহলে ঘুরে আসুন কসবা-আখাউড়ায় এবং দেখে আসুন উন্নয়ন ও শুনে আসুন উদারতার গল্প এবং উন্নয়নকামী মহান ব্যক্তির মহানুভবতার নাতিদীর্ঘ ইতিহাস। চাকুরী ক্ষেত্রে তিনি বিরল নজির স্থাপন করছেন। এলাকার প্রায় তিন হাজার যুবক ও যুবতীদেরকে বিনা খরচে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চাকুরীতে বহাল করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপারিশের সুযোগ দিয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সু প্রতিষ্ঠিত করে পরোপকারীর স্বাক্ষর সুস্পষ্ট করেছেন। এই মানুষটি কখনো বলেনি আমি এমপি বা মন্ত্রী বরং তিনি বলেন আমি আপনাদের লোক, সন্তান, ভাই, বন্ধু, আত্মীয় পরিজন। সর্বোপরি তিনি বলেন আমি আপনাদের অভিবাভক। আপনাদের যা প্রয়োজন তা আমি যোগান দিয়ে যাবো। আমার কাছে চাইতে হবে না বরং আমিই সবকিছু নিয়ে হাজির হবো। এই সেই আনিছুল হক। তিনি সদ্য সমাপ্ত হওয়া ঢাকাস্থ্য কসবা সমিতির পুর্ণমিলনি অনুষ্ঠানেও এই একই স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি কসবা সমিতিকে নিজস্ব ভবন করে দিয়ে স্থায়ী ও অগ্রগতির শিখরে পৌঁছাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি এও বলেছেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে কসবা আছে এবং থাকবে এমনকি সমুজ্জ্বল হয়ে মাথা উঁচু করে মান-সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়ে চিরদিন টিকে থাকবে।

যদি লিখে যাই তাঁর গুণের কথা তাহলে আমার জিবদ্দশায় এই লিখার সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে না। কিন্তু স্বল্প পরিসড়ে এই লিখা চলমান রাখার আশা পোষণ করছি। আজকের লিখার শেষান্তে বলতে চাই জনাব আনিছুল হক শ্যানন সাহেব আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী। আসুন আমরা দল মত নির্বিশেষে জনাব হক সাহেবকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত করে একক অভিভাবক হিসেবে সম্মানিত করি।

কসবা আখাউড়ার প্রতিটি মানুষ আনিছুলক হকের পরিবার এবং আত্মার আত্মিয়। এই নি:শর্ত ও নি:স্বার্থের বন্ধনের বেড়াজালে আবদ্ধ করে নির্বাচনে বিজয়ী করার সকল কর্মকান্ড সুসমাপ্ত করি। জয় হউক আনিছুল হকের, জয় হউক বাংলাদেশের, জয় হউক সার্বজনীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.