বিশ্ব শান্তির বিশ্ব মহড়া

বিশ্ব শান্তির বিশ্ব মহড়ায় এখন বাংলাদেশও যুক্ত। তবে এই মহড়ার বিগত দিনের ফলাফলে হতাশ বিশ্ব বিভেক। তবে এতে কারো কারো সর্বনাশ এবং কারো কারো ক্ষেত্রে পোয়া বারোতে পরিগণিত হয়েছে। এটাইতো পৃথিবীর নিয়ম; একের ক্ষতি এবং অন্যের উপকার। এই রীতিতেই পৃথিবী আজ অগ্রসরমান। তবে এই ক্ষেত্রে সম্পর্কের একটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। সম্পর্ক কখনো কখনো মানুষকে এমনকি সমাজ ও সভ্যতাকে হার মানিয়েছে। এই সম্পর্কের মাধ্যমেই মানুষ একে অন্যের পরিপূরক হয়ে কাজ করে এমনকি স্ব স্ব স্বার্থ হাসিলে লিপ্ত থাকে।

এই ক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশ তাঁর স্বাথ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে সম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বে পারদর্শীতার প্রমানক বা স্বাক্ষর বহন করে যাচ্ছে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব; কারো সঙ্গে শত্রুতা নয় এই বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে পথ চলছে সরকার, দেশ ও জনগণ। এর ধারাবাহিকতায় সাফল্যগাথা ইতিহাস একের পর এক রচিত হয়েই চলছে। তবে এর মধ্যে একটি আক্ষেপ হলো আমাদের নিজ দেশে এই রিতি ও নিতি বাস্তবায়নে বড়ই বাধা অথবা অনিহা কাজ করছে। তবে এই রীতি ও নিতি যদি আমাদের সমাজে, সংস্কৃতিতে, ধর্ম ও কর্মে আর সর্বোপরি রাষ্ট্রের সকল কাজে এমনকি রাষ্ট্রউন্নয়নকামী সকল মানুষের চিন্তা ও মননে জাগ্রত থাকতো তাহলে কতইনা সুন্দর আগামী আমরা রেখে যেতে পারতাম অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। তবে আমি আশাবাদি এবং আমার মোনাজাতে অবিরত এই প্রার্থনাই জাগ্রত।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্ব শান্তির মহড়ায় সুউচ্চাসনে অধীষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বকে দিক নির্দেশনা দিতে পারে ও জানে, বিশ্ব দরবারে অধিকার আদায়ের কৌশলে অগ্রগামী থাকতে পেরেছে। ন্যায়-নীতি ও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার দৃশ্যমানতায় মেলবন্ধন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্রিক্‌স, জি ২০ এবং জাতিসংঘের এই চলমান সম্মেলন আমাদেরকে আশা জাগায় এবং সুদুর আগামীর ইতিবাচক কল্যাণ হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্যগাথায় এগিয়ে যাচ্ছে। সমালোচনাকারী এবং সমালোচকদের মুখে চুনকালী মেখে তিনি দেখিয়েছেন যে, তাঁর অর্জন, মূল্যায়ন এবং বিশ্ব রসায়নে কার্যকরী ভুমিকা। এই সকল কিছুই আমাদেরকে আগামীর কল্যাণে কাজে লাগুক এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এর উপকারভোগী হউক। এই কামনাই আমাদের নিত্যদিনের।

বিশ্ব আজ শত অশান্তির মাঝে খুজে ফিরছে শান্তি। শত অন্যায়ের মাঝে খুজে ফিরছে ন্যায়। শত শত বৈষম্যের মাঝে খুজে ফিরছে সাম্য ও ভাতৃত্ব। তবে এর মাঝেওতো আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে তাই মানুষের তৈরী বিধানাবলীর উপর নির্ভর করে এমনকি বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়ে শেষ সিমানায় এসে ঠেকেছে। মানুষের তৈরী আইন-কানুন ও বিধানাবলী কখনেই শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধান করতে পারেনি এবং আগামীতেও পারবেনা যা শতভাগ নিশ্চিত। তারপরও কেউ মুলে গিয়ে শিক্ষা নিচ্ছে না এমনকি সৃষ্টিকর্তার দেয়া শিক্ষা এবং জ্ঞান ও সহজ সরল পথে কেউ হাটছে না; যদিওবা কেউ কেউ হাটছে তাও আবার তাদের নিজেদের আখের গোছাতে বা কল্যাণের তরে। এতকিছুর পরেও সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে ভালবেসে ক্ষমা এবং ভালবাসায় পরিপূর্ণতা নিয়ে আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন।  তবে এরই মাঝে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং জাগ্রত হয়ে মানুষকে ডাকছেন ফিরে আসার জন্য। কাছে টেনে নিয়ে সকল যন্ত্রনার অবসান করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আর নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার পরিপূর্ণ বিধানে যুক্ত হওয়ার জন্য। কোথায় আজ আমাদের চেতনা এবং আত্মার উপলব্দি? জাগ্রত করুন, অপেক্ষা করুন, ধৈয্য ধারন করুন, সৃষ্টিকর্তার নিকট যাচনা করুন এবং তাঁর সান্নিধ্য লাভে বিশ্বাস ও নির্ভরতা নিয়ে চেষ্টা করুন; আমি বলতে পারি আপনি নিশ্চিত সফল এবং সাথে সাথে আপনার মাধ্যমে এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকেও সফলতায় পর্যবসিত করবেন।

আজকের এই দিনে এবং বিশ্ব বাস্তবতায় ও বিশ্ব ব্যবস্থায় সৃষ্টিকর্তার একটি আহবান আমার মনে পড়ছে- যা সবার জন্যই প্রয়োজন বলে মনে মনে করি। “হে পরিশ্রান্ত, ভারাক্রান্ত, যারা বোঝা বয়ে বেড়াতে পারছো না; আস আমার কাছে আমি তোমাদেরকে বিশ্রাম দেব। আমার কাছ থেকে শেখ, আমার স্বভাব নরম ও নম্র; আমার জোয়াল হালকা যা বয়ে নিয়ে বেড়ানো যায়; তা আমি তোমাদেরকে দেব।” হ্যা এই আহবানটি আমাকে এবং আপনাকে ও বিশ্ববাসীকে ডাকছে যেন আমরা এখন বিশ্রাম পাই। শান্তি ও নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে চিরস্থায়ী আবাসের পাকাপোক্তকরণের সময় এখন এবং তা শুধু আমার; আপনার সকলের জন্য বিনামূল্যের দান। তাই এই দান গ্রহণে আগ্রহী হয়ে জীবনের ইতি টানুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.