সফট স্কিলের ঘাটতির কারণে চাকরি পাচ্ছেননা গ্র্যাজুয়েটরা

প্রশান্তি ডেক্স ॥ উচ্চতর শিক্ষা অর্জন কওে এমনকি ফলাফল করেও শুধু সফট স্কিলের ঘাটতির কারণে গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে এ কথা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রাস্টি উত্তরা ইউনিভার্সিটি উপাচার্য ড. ইয়াসমীন আরা লেখা, বোর্ডের চেয়ারম্যান মো বদরুল ইমাম।

সফট স্কিল বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কথা বারবার শুনতে পাই। চাকরি প্রত্যাশী আর চাকরিদাতাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকে যায়। আমাদের একজন ভালো গ্র্যাজুয়েট চাকরি পাচ্ছেন না, অথচ পাশের দেশের একজন শিক্ষার্থী একটি সার্টিফিকেট কোর্স করে চাকরি পাচ্ছেন। কেন পাচ্ছেন না? কোথায় আমাদের ঘাটতি? ঘাটতি সফট স্কিলসে, ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল, কোলাবরেশন স্কিলড, এগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখায় না। ধারনা এসব দক্ষতা শিক্ষার্থীরা অর্জন করবে। তাহলে যারা প্রাথমিক, মাধ্যমিক পেরিয়ে এসেছে তারা কীভাবে শিখবে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা শিখবে। শিক্ষার্থী যে বিষয় পড়ুক, তার ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে, আইসিটির দক্ষতা থাকতে হবে, অন্ট্রোপ্রেনারশিপ জানতে হবে। সবাই চাকরি করে তা-ও নয়, আবার সবাই উদ্যোক্তা হবেন তা-ও নয়। কিন্তু দক্ষতা থাকতে হবে। শেখাটাই এখন বড় বিষয়।

নতুন শিক্ষাক্রম : শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার শুধু জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে দক্ষতাভিত্তিক প্রায়োগিক শিক্ষা  গুরুত্বারোপ করছে। আর সেই লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বছর প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি, মাধ্যমিকে ষষ্ট ও সপ্তম শেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী প্রাথমিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে অষ্টম ও নবম শ্রেণি আর তার পরের বছর ২০২৫ সালে প্রাথমিকে চতুর্থ ও পঞ্চম আর মাধ্যমিকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৫ সালে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আর ২০২৭ সাল নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে।

এই নতুন শিক্ষাক্রমে মুখস্থনির্ভর নয়, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখবে। শেখাটা চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

শিক্ষককের ভূমিকাতেও আসছে পরিবর্তন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিখন হবে সক্রিয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.